চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকেল ৩ টায় চবি উপাচার্যের সভাকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ডিনবৃন্দের সর্বসম্মতিক্রমে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে চবিতে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ থেকে ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া ভর্তি কার্যক্রম সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যাবলী পরে জানানো হবে।

অন্যদিকে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৪ নভেম্বর শুরু হয়ে চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন শুরু হবে ২ সেপ্টেম্বর। চলবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ।

চবি সংবাদদাতা জানিয়েছেন,

চবির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সফিউল আলম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমান, জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান।

আরো উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শংকর লাল সাহা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ, আইসিটি সেলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার (একাডেমিক) এস এম আকবর হোসাইন প্রমুখ।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা জানিয়েছেন,

তিনি বলেন, রোববার সকাল ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর রশিদ আসকারীর সভাপতিত্বে প্রশাসন ভবনের সভাকক্ষে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৪ থেকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের তারিখসহ প্রবেশপত্র উত্তোলন ও পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের তারিখ নির্ধারণের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন ২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। প্রবেশপত্র উত্তোলন করা যাবে ১৬ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।

এছাড়া ভর্তি পরীক্ষার পর সংশ্লিষ্ট সকল ইউনিটকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

গত বছরের মতো এবারও ৪টি ইউনিটে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। ‘এ’ ইউনিটের অধীনে ধর্মতত্ত্ব অনুষদের পরীক্ষা; ‘বি’ ইউনিটের অধীন কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা; ‘সি’ ইউনিটের অধীনে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের পরীক্ষা এবং ‘ডি’ ইউনিটের অধীনে বিজ্ঞান অনুষদ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এবারও লিখিত ও এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১২০ নম্বরের পরীক্ষায় ২০ নম্বর লিখিত (এক বাক্যে উত্তর) ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ৪০ নম্বর (২০+২০) থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক হারুন-উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘এবারও ব্ল্যান্ডেড পদ্ধতিতে (লিখিত এবং এমসিকিউ) ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। নির্ধারিত আসনে সর্বোচ্চ মেধাবীদের ভর্তি করাতে সতর্ক অবস্থানে থেকে সব ব্যবস্থাই নেয়া হবে।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।