বরিশালের আগৈলঝাড়ায় জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘণ করে বদলীর অভিযোগে জেলা প্রশাসক, ইউএনও, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে এক সহকারী শিক্ষক আদালতে মামলা দায়ের করেছে। বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালত সমন জারি করেছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার বাকাল গ্রামের সাবেক শিক্ষক কেএম শামসুর রহমানের ছেলে বাকাল হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বরিশাল সহকারী জজ আদালতে বিচার প্রার্থণা করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদারকে প্রধান আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযুক্তরা হলেন জেলা প্রশাসক, প্রাথমিক শিক্ষার উপ- পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার ও বারপাইকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মুক্তা রানী সরকার। বিজ্ঞ আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আগামী ২৩ মে’র মধ্যে সমন ফেরতের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
মামলার আর্জিতে বাদী মিজানুর রহমান অভিযোগে বলেন, ২০১৮ সালের ২৯ আগস্ট ১৪১৬ স্মারকে জেলা শিক্ষা অফিসারের অফিস আদেশে আগৈলঝাড়া সদর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষকের বদলীজনিত শূণ্য পদ সৃষ্টি হয়। ওই শূণ্য পদের বিপরীতে বাদী বর্তমান কর্মস্থল থেকে সদর মডেল স্কুলে বদলীর আবেদন করেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বদলী নির্দেশিকায় ৩ দশমিক ১ অনুচ্ছেদে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। বাদী ২০০৭ সালের ১ জুলাই চাকুরীতে যোগদান করে জেষ্ঠ্যতা অর্জন করলেও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার মন্ত্রনালয়ের জেষ্ঠ্যতার নির্দেশনা অমান্য করে ২০০৯ সালের ৭ মে চাকুরীতে যোগদান করা বারপাইকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মুক্তা রানী সরকারকে সদর মডেল বিদ্যালয়ে পদায়নের সুপারিশ করে জেলায় প্রেরণ করেন। তার সুপারিশের ভিত্তিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তা বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করার কারণে ৭ এপ্রিল প্রতিকার চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে (এমপি ১১) মামলাটি দায়ের করেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘণের প্রশ্নে সাংবাদিকদের জানান, বদলীর বিশেষ বিধানে শর্ত অনুযায়ী ৪(৩) ধারায় সদ্য বিধবা, ৮(৩) ধারায় বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা হওয়া এবং দু’টি শিশু বাচ্চাসহ উপজেলা সদরের বাড়িতে অবস্থান ও ক্যাসমেইট সুবিধার কারণে মুক্তাকে সদর মডেল স্কুলে বদলীর সুপারিশ করেছেন। নতুন কর্মস্থলে ওই শিক্ষকা যোগদানও করেছেন। তিনি আরও বলেন, বাদী এবং বিবাদী মামলা আপোস করেছে বলে শোনা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস মামলার কথা শুনেছেন জানিয়ে বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাকে বিবাদী করা হয়েছে। কারণ বিষয়টি শিক্ষা বিভাগের আওতায় হবার কারণে এখানে জেলা প্রশাসক, ইউএনও, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বিবাদী করার বিধান নেই।
[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]