ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে একর পর এক নানা ধরনের অপরাধ মুলক ঘটনা ঘোটেই চোলেছে। কোন ভাবেই এসব অপরাধ থামছে না। আবার আইন প্রয়োগকারি সংস্থা ও নিরব ভুমিকা পালন করছে। যে কারণে অপরাধ মুলক ঘটনা ক্রমান্বয়ে ঘটছে বেশি করে। যেমন গত ১২ জুন কালীগঞ্জ নদী পাড়া এলাকায় মাদক সেবন কারিদের হাতে এক রিকসা চালক মারপিটের শিকার হয়, পরে সে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আবার কেউ বলেছে মুরাদ কে হত্যা করে ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

৮ জুন রাতে কালীগঞ্জ শহরের কৃষি অফিস পাড়ায় এস.কে সোহাগ হোসেনের বাসার তালা ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ প্রায় ৪ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরে। বাসার মালিক এস.কে সোহাগ জানান, তিনি নিজে একজন প্লাষ্টিক মালা মালের পরিবেশক। পরিবারের সকলে ঈদ উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে রাত্রিযাপন করেন। এ সময় শহরের বাসায় কোন লোক না থাকায় মেইন গেটে তালা দেয়া ছিল। ওই রাতেই চোরেরা বাসার মেইন গেটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। চোরেরা আলমিরার তালা ভেঙ্গে নগদ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, ৪ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, একটি ৩২ ইঞ্চি কালার টেলিভিশনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র মিলে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে কালীগঞ্জ উপজেলার বগেরগাছি গ্রাম থেকে অপহরণ হওয়া ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র রিয়াদ হোসেনকে উদ্ধার করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। শিশু রিয়াদ উপজেলার বগেরগাছি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে। সোমবার দুপুরে শিশু রিয়াদকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী তাইজুল ইসলাম স্বপন ওরফে মুন্নাকে আটক করে পুলিশ। আটক মুন্না ও কালীগঞ্জ উপজেলার বগেরগাছি গ্রামের শুকুর মোল্লার ছেলে। মোবাইল ফোটনে শিশু রিয়াদের পরিবারের কাছে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।

মোহনা সমিতির সহকারী ম্যানেজার বিপুল কুমার শিকদার, ফিল্ড কর্মকর্তা উৎপল মন্ডল ও মোহনা সমিতির নিহারিকা দলের দলপতি রত্নাড় সাথে আলাপ করেছেন। এতে তাদের কাছে পরিলক্ষিত হয় অভিযোগকারী সন্ধ্যা মালি ২৪/১/২০১৮ তারিখে মোহনা ফাউন্ডেশনের নিহারিকা মহিলা সমিতির সদস্য পদ লাভ করেন। তার হিসাব নং-২৯৭ এবং গত ৭/২/২০১৮ তারিখে মোহনা ফাউন্ডেশন তাকে ১৫০০০/= টাকা ঋণ দেয়। যার বিপরিতে ২৮/২/২০১৮ তারিখ হতে ২৭/৫/১৮ তাং পর্যন্ত সাপ্তাহিক ৩৭৫/= টাকা হারে ১৫ কিস্তিতে সে মোট ৫৬২৫/ টাকা পরিশোধ করেছেন। এছাড়াও সমিতির নিকট তার সঞ্চয় বাবদ ২১৫০/= টাকা জমা আছে।

কালীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মাদাসা ছাত্রী ধর্ষন করে। আলামিন উপজেলার খালকুলা গ্রামের মৃত. আবদুর রউফের ছেলে। কালীগঞ্জ কোলা ক্যাম্প আইসি হাফিজুর রহমান জানান, কোলার আলোচিত ধর্ষন প্রধান আসামি আলামীন গত ১০ মে শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার কোলা পেত্নি পাড়ার দশম শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়। ধর্ষকরা তাকে রাতভর ধর্ষন শেষে হাত পা বেঁধে ওই গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। পরদিন ভোরে মাঠে কাজ করতে এসে কৃষকেরা তাকে উদ্ধার করে। ওই দিন দুপুরে ধর্ষিতার বাবা মেয়েকে নিয়ে কালীগঞ্জ থানাতে এসে খালকুলা গ্রামের মৃত আবদুর রউফের ছেলে আলামিন হোসেন সহ অজ্ঞাত আরো ২ জনকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

নিজেদের কখনো সাংবাদিক কখনো বা মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন প্রতারনা চালিয়ে আসছিল একটি প্রতারক চক্র। বুধবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার চাপরাইল বাজারে বিভিন্ন বেকারীরতে চাঁদাবাজির করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে তারা। নিজেদেরকে কথিত বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড প্রেস সোসাইটির পরিচয় দিয়ে থাকেন এই তিন ভূয়া সাংবাদিক। স্থানীয় জনতা তাদের গণধোলায় দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তারা হলো-মাগুরা জেলার আবালপুর (ইটটুলা বাজারপাড়া) গ্রামের মৃত. নইমুদ্দিনের ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (৪৮), মাগুরা সদর থানার সাজিয়াড়া (মাঠপাড়া) গ্রামের মৃত ইসমাঈল শেখের ছেলে ইমরান হোসেন (৩২) এবং মাগুরা জেলার সদর উপজেলার মালাঙ্গী (মাঝপাড়া) গ্রামের আরজ আলীর ছেলে মফিজুর রহমান (২৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে দামী ক্যামেরা, বিভিন্ন পত্রিকার ভূয়া পরিচয়পত্র, ভিজিটিং কার্ড, চ্যানেল বাংলা টিভির বুম (মাইক্রোফোন), এন্ডোরয়েড মোবাইল ফোন, চাঁদাবাজির টাকা ও তাদের ব্যবহৃত সাদা রংয়ের ঢাকা মেট্রো-গ-৩১-৫২৭৫ প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়।

কালীগঞ্জ শহরের মেইন বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ১ মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬ এর একটি দল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি-২, র‌্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম এর নেতৃত্বে কালীগঞ্জ শহরের মেইন বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে মুনসুর প্লাজার পূর্ব পাশের গলিতে থেকে ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ সুবোধ কুমার বসু (৫২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আটক মাদক ব্যবসায়ী কালীগঞ্জ পৌরসভার চাপালী (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের মৃত. সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে ১ টি মোবাইল সেট এবং ১ টি সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়। সে দীর্ঘদিন এলাকায় একটি সিন্ডিকেট গোলে তুলে বড় ধরনের মাদক ব্যবসা করে আসছিল।

এছাড়া কালীগঞ্জে মাদকের ব্যাবসা এখন চলছে গোপনে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ফেনসিডিল, ইয়াবা,ও গাঁজার ব্যবসা চলছে বেশি করে। বেশির ভাগ সময়য়ে দেখা যায় কালীগঞ্জ থানা পুলিশ মাদক ব্যবসায়িদের গ্রেফতার করতে পারে না কিন্তু ঝিনাইদহ র‌্যাব ও মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের সদস্যরা কালীগঞ্জ ঐলাকা থেকে ব্যবসায়িদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।