পবিত্র ইদুল ফিতরের আগে সরকারের দেওয়া ভিজিএফ চাল না পেয়ে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছের বিরুদ্ধে উপজেলা নিবার্হী অফিসার, পুলিশ সুপার ও নীলফামারী জেলা প্রশাসক বরারর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ওই ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ভিজিএফ কার্ডধারী সুবিধাভোগীরা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতার্র কাযার্লয় ও সুবিধাভোগীদের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকার ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পবিত্র ইদুল ফিতর উপলক্ষে দুযোর্গ ও ব্যাবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে বন্যাক্রান্ত, দুযোর্গাত্রুান্ত, দুঃস্থ অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে পবিত্র ইদুল ফিতরের আগে প্রত্যেক সুবিধাভোগীদের মাঝে ১৫ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।

সেই আলোকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের ৫৬ হাজার ৫ শ ৪৭ টি পরিবারের জন্য ৮ শ ৪৮ পয়েন্ট ২০৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ৬ হাজার ৯ শত ৬৪ টি পরিবারের জন্য ১০৪ পয়েন্ট ৪৬০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ প্রদান করা হয়।

এ সমস্ত চাল উপজেলা মানবিক কমিটির সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে গত মাসের ২৮,২৯,৩০ শে মে তারিখের মধ্যে বিতরন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ গত মে মাসের ৩০ তারিখে চাল বিতরনের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন।

কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নারী বাসিন্দা এলেজা বেগম, শাহিনা বেগম, মলিনা বেগম, ফেন্সি বেগম, জিন্নাতারা, কইচন, অহনা বেগমসহ শতাধিক নারী সুবিধাভোগী অভিযোগ করে বলেন, আমরা ৩০ তারিখ থেকে রোজা মুখ নিয়ে প্রতিদিন ইউনিয়ন পরিষদে চাল নিতে আসি।

সর্বশেষ গত জুন মাসের ৪ তারিখে পুণরায় ইউনিয়ন পরিষদে চাল নিতে আসলে চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ ও তার আপন ছোট ভাই আনিছার রহমান আমাদের অশালিন ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের ধর্ষণ করার হুমকি দেয়।

কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ৩০ তারিখ থেকে ৪ তারিখ পর্যন্ত আমি ৬ হাজার সুবিধাভোগীদের মাঝে চাল বিতরণ করেছি।

যে সমস্ত সুবিধাভোগী চাল পায়নি সে সমস্ত স্লিপ উপজেলা চেয়ারম্যান দিয়েছে কিন্তু তিনি ৪ তারিখ দুপুরের পর তালিকা দেওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কোন সুবিধাভোগীকে আমি গালিগালাজ কিংবা খারাপ ভাষায় কথা বলিনি। তাহলে ওই দিন পুলিশ আসলো কেন, তিনি বলেন পুলিশকে আমি ডেকেছিলাম।

কিশোরগঞ্জ থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, ঈদের আগে ৪ জুন চাল বিতরনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের সাথে কথাকাটাকাটির একপযার্য়ে সুবিধাভোগীরা রাস্তা অবরোধ করে রাখায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার আবুল কালাম আজাদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন , ঘটনাটি আমি শুনেছি আমি ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছি ছুটি শেষে অফিসে যোগদান করে বিষয় তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।