চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপারের অনুপ্রেরণায় মতলব উত্তর থানার ওসি মিজানুর রহমানের উদ্যোগে মতলব উত্তর উপজেলা সদর থেকে কালিপুর সংযোগ সড়কটি দীর্ঘদিনের বেহাল দশা থেকে মুক্তি পেল। গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল ও ব্যস্ত এ সড়কটির জীবগাঁও স্ট্যান্ড থেকে পাঁচগাছিয়া পর্যন্ত প্রায় ৩-৪ কিঃমিঃ এলাকায় অন্ততঃ ২৬-২৭টি বড় বড় গর্ত ও ভাঙ্গা অংশের কারণে যানবাহন বিশেষ করে সিএনজি, লেগুনা, ইজিবাইক ও প্রাইভেট কার যাতায়াতে রীতিমত যুদ্ধ করতে হত চালকদের।

চলতি বর্ষা মৌসুমে সড়কটির অবস্থা ক্রমান্বয়ে খারাপ হতে থাকায় ওসি পৌরসভার প্যানেল মেয়র বোরহান উদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে পৌর কর্তৃপক্ষ সড়কটি দ্রুত মেরামতে ফলপ্রসূ কোন উদ্যোগ নিতে পারছিলেন না। মাঝে মধ্যেই এ সড়কে যানবাহন বিকল হওয়ার পাশাপাশি ছোটখাট দূর্ঘটনাও ঘটছিল। জনগণের দূর্দশার এই চিত্র দেখে জনদূর্ভোগ লাঘবে থানা পুলিশের নিয়মিত কাজের গন্ডি পেরিয়ে দ্রুত সড়ক মেরামতের এক ব্যাতিক্রমি কাজে হাতে দেন মতলব উত্তর থানা পুলিশের টিম লীডার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান।

জেলা পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, বিপিএম, পিপিএম এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট আলহাজ্ব নুরুল আমিন রুহুল এঁর অনুপ্রেরণায় ব্যাস্ত এ সড়কটির যাত্রী ও চালকদের দীর্ঘদিনের দুর্দশা লাঘবে ওসি মিজানুর রহমানের উদ্যোগে ও নেতৃত্বে ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান একেএম শরীফ উল্লাহ সরকারের সহায়তায় প্রায় ৭ হাজার ইট এবং স্থানীয় ভাবে প্রায় ৫শ’ ফুট বালু সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ২৯ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত টানা স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে বিনা খরচেই সড়কটির মেরামত সম্পন্ন করা হয়।

ওসির নেতৃত্বে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মুরশেদ আলম ভূঁইয়া, এসআই গোলাম মোস্তফা, এসআই নাহিদ, এসআই ইসমাইল, এএসআই জ্ঞানময় চাকমা, এএসআই হাবিবসহ প্রায় ১৪-১৫ জন অফিসার ফোর্স, পৌরসভার স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার আবদুস কুদ্দুস, উপজেলা দুর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডলার, মতলব উত্তর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক দ্বীন ইসলাম, মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাদশা ও সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত আল আমিন, সাংবাদিক সফিকুল ইসলাম রানা, সাজ্জাদ হোমেশিনে সমান্তরাল করে মাত্র ৬ ঘন্টায় মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হয়।

ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের ইট-বালু-হাতুড়ি ও কোদাল হাতে ব্যাস্ত সড়কে হঠাৎ রাস্তা মেরামত করতে দেখে গাড়ী চালক-যাত্রী ও স্থানীয়রা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখেন এবং পুলিশের ভূঁয়সী প্রশংসা করেন। অনেকে গাড়ী থেকে নেমে পুলিশের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেন। তারা আরো কয়েকটি সড়কের বেহাল অবস্থা তুলে ধরে পুলিশের সহযোগিতা চান। এ সময় ওসি মিজানুর রহমান জনদূর্ভোগ লাঘবে পুলিশ যে কোন পরিস্থিতিতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, কমিউনিটি পুলিশ ও জনগণকে সাথে নিয়ে বরাবরের মত সাধ্যমত কাজ করে যাবে মর্মে ঘোষণা দেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।