নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মামলার ১০ দিন পার হলেও অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ওই দুই শিক্ষককে বাঁচাতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষার দোহাই দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। যৌন নিপীড়ন মামলার প্রধান আসামি ওই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার দাস ও ২ নং আসামি প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রদীপ ইতোমধ্যে বিশেষ সুবিধা দিয়ে ম্যানেজিং কমিটিসহ স্থানীয় বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতাকে ম্যানেজ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ম্যানেজিং কমিটি গত ১৪ জুন স্কুল মিলনায়তনে স্থানীয়দের নিয়ে এক পরামর্শ সভা আহ্বান করে।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল। সভাপতিত্ব করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহেল। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের পদত্যাগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে মানবিক দিক থেকে বিবেচনারও অনুরোধ জানান।

গত ৭ জুন যৌন নিপীড়নের শিকার ৩০/৩৫ জন ছাত্রী অভিভাবকদের নিয়ে সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুলের বাড়ি গিয়ে ওই দুই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। সাংসদ থানার ওসিকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। যৌন হয়রানির শিকার এক ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে গত ৮ জুন মামলা করেন। এর পর থেকে পলাতক দুই শিক্ষক।

এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহেল বলেন, অভিযুক্ত দু’জনই অপরাধ করেছেন কি-না জানি না। তবে অপরাধ মাথায় নিয়েই তারা পদত্যাগ করেছেন। আইনি প্রক্রিয়াও চলমান। আমি অনুরোধ করব, মিডিয়ায় বিষয়টা নিয়ে যেন আর লেখালেখি না হয়।

এ বিষয়ে থানার ওসি রনোজিত রায় বলেন, ওই দুই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের সব প্রক্রিয়া চলমান। আশা করছি, দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা যাবে।

সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল বলেন, অভিযুক্তদের বাঁচাতে ক্ষমতাসীন দলের একটি মহল মরিয়া- বিষয়টি সঠিক নয়। আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।