চলতি বছর এখন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশিসহ প্রায় ১০০০ মানুষ ডুবে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক এজেন্সি ইউএনএইচসিআর। মঙ্গলবার এ বছর শেষ হওয়ার তিন মাস আগেই এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে ইউএনএইচসিআর।

তাতে ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র চার্লি ইয়াক্সলে বলেছেন, তার এজেন্সি জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার ও অনুসন্ধান সক্ষমতা বৃদ্ধির আহ্বান জানাচ্ছে। একই সঙ্গে উদ্ধার অভিযানে ইউরোপিয় ইউনিয়নের নৌযানকে ফেরত আনার দাবিও জানান। এনজিও বোটগুলোকে সমুদ্রে জীবন রক্ষার জন্য তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকার করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর মতে, ২০১৪ সাল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে কমপক্ষে ১৮০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

এক বছরের বেশি সময় হলো, সমুদ্রে দুর্বল বোটগুলো থেকে শরণার্থী ও অভিবাসীদের উদ্ধারে যেসব মানবিক দায়িত্বসম্পন্ন জাহাজ কাজ করতো তাদেরকে আর কোনো শরণার্থী অথবা অভিবাসীকে তাদের জাহাজে তুলতে এবং তাদেরকে তীরে নামিয়ে দেয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইতালি ও মালটায়।

ইতালির অভিবাসন বিরোধী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তিও সালভিনি পর্যন্ত এমন উদ্ধারকারী জাহাজের ক্রুদের জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন।

এই দুই দেশের এমন অনড় অবস্থানে এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আগে তারা সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা শরণার্থীদের ঠাঁই দিত কয়েক সপ্তাহ। তারপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো সেই শরণার্থীদের মধ্য থেকে অন্তত কিছু সংখ্যককে গ্রহণ করতো।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।