রাজধানীর আইডিয়াল কলেজ ধানমণ্ডিতে ‘৭ই মার্চের ভাষণ-আমাদের বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা-২০১৯’ এর পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশব্যাপী মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের দুই হাজার শিক্ষার্থী এই রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুল পর্যায়ে দশ জন ও কলেজ পর্যায়ে দশ বিজয়ী শিক্ষার্থীর হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।

শনিবার সকাল ১১ টায় কলেজ অডিটোরিয়ামে পুরষ্কার বিতরণ ও আলচোনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রচনা প্রতিযোগিতায়  স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ১ম স্থান অর্জনকারী  শিক্ষার্থীকে নগদ ১৫ হাজার টাকা ২য় স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার টাকা ও ৩য় স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীকে পাঁচ হাজার এবং ৪র্থ থেকে ১০ম স্থান অর্জনকারীদেরকে ৩ হাজার টাকা করে পুরস্কৃত করা হয়।

কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান (চেয়ারম্যান, নির্বাহি কমিটি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল) এর সভাপতিত্বে ও কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর জসিম উদ্দীন আহম্মেদ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত নারী আসনের ( আসন নং ৩১৮) সাংসদ জাকিয়া পারভিন খানম,  গভর্নিং বডির সদস্য মাহফুজুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী সাতই মার্চের ভাষণ উপলক্ষে বলেন, প্রত্যেক জায়গাতে কিছু নাম থাকে যেমন গ্রহে জতিষ্ক , সুন্দরবনে বাঘ, পদ্মায় ইলিশ তেমনি একটি বাংলাদেশ যেখানে যুগ যুগ ধরে বহমান থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম তার ঘোষিত সাতই মার্চের ভাষণ।

ইতিহাস বিকৃতির বিষয়ে তিনি বলেন, পাকিস্থান যখন আমাদের উপর উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে উঠে পড়ে নেমেছিল তখন প্রতিবাদ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা দেখেছি এই মহান ব্যক্তির প্রতিবাদের ইতিহাসকে বিকৃতি করা হয়েছে। তিনি বলেন, সাতই মার্চের ভাষণ শুধু মাত্র একটা ভাষণ নয় এটা বাংলার অর্থনৈতিক মুক্তির পথপদর্শক, সাংস্কৃতিক মুক্তির দিক নির্দেশক।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, সাতই মার্চের ভাষণ –আমাদের বঙ্গবন্ধু শীর্ষক রচনা প্রতিযোগায় স্কুল পর্যায়ে সারাদেশ থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী পুরষ্কার প্রাপ্ত দশ জনের সাত জন ছাত্রী ও কলেজ পর্যায়ে দেশব্যাপী অংশ নিয়ে পুরষ্কার পাওয়া দশ জনের সাত জনই ছাত্রী।  বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারীর ক্ষমতায়ণের ফলেই আজ এটা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন,  বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ সমার্থক। তার জন্যই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। বিশ্বের বুকে বঙ্গবন্ধুর নামেই বাংলাদেশ পরিচিত। সাতই মার্চের ভাষণ আজ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃত।

পুরষ্কার বিতরণ ও আলোচনা  শেষে সভা কলেজ শিক্ষার্থীদের অংশ নেওয়া  এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।