কুষ্টিয়া জেলা সংবাদদাতাঃ কুষ্টিয়ার খোকসায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সামনে বিদ্যুতের সর্ট সাকিটের আগুনে এক কৃষকের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেলো।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা সদরের জানিপুর স্কুল পাড়া কৃষক কপিল বিশ্বাসের থাকার ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। স্থানীয়রা খোকসা ফায়ার সার্ভিসে মোবাইল ফোনে জানায়। আগুনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। গ্রামবাসীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে কিন্তু ততক্ষনে কৃষকের থাকার ঘর, গোয়াল ঘর, রান্না ঘরসহ সব ভষ্মে পরিণত হয়। খবর দেওয়ার ২৫ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মাত্র এক কিলোমিটার দূরে অগ্নিকান্ডর স্থলে পৌছায়। এ সময় বিক্ষুদ্ধ জনতা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে  গাড়ির ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে সটকে পরে।

এ সময় ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা পুতুলের মত দাঁড়িয়ে কৃষকের বাড়ি পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য উপভোগ করে। দীর্ঘ সময় পর অগ্নি নির্বাপণ গাড়িটি আবার ঘটনা স্থলে ফিরে আসে এবং তার ভাষ্মের উপর পানি ছিটায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের এ আচরণে ঘটনা স্থলে উপস্থিত কয়েকশ নারী পুরুষ আরো ক্ষুৃদ্ধ হয়ে ওঠে। তারা ফায়ার ব্রিগেডের কমীদের বিচার চেয়ে শ্লোগান দিতে থাকে।

স্কুল ছাত্র মুছা হোসেন জানান, অগ্নিকান্ডের সূত্রপাতের সময় তিনি পাশের রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বিকাল ৫টা ৩ মিনিটের দিকে সে ৯৯৯ তে ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানায়। কিন্তু মাত্র এক কিলোমিটার দূর থেকে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি এসে পৌছায় ৫টা ৩০ মিনিট এর পর।

অগ্নিকান্ডের সূত্রপাতের সময় কৃষক কপিল বিশ্বাসের বাড়িতে তারা কেউ ছিলেন না। কি ভাবে অগ্নিকান্ড ঘটেছে সে ব্যাপারেও তিনি চিশ্চিত নয়। তবে অনুমান করছেন ফ্রিজের থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তিনি আরো জানান, ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি সময় মত পৌছালে তার বাড়ি পুড়ত না।

খোকসা ফায়ার ব্রিগেডের লিডার টুটুল ইসলাম ঘটনা স্থলে সাংবাদিকদের জানান, বাজারের মধ্যে জ্যাম থাকায় তার ২০ মিনিট আটকে ছিল। এ কারনে তাদের পৌচ্ছাতে বিলম্ব হয়েছে। এ ছাড়া জনতার ভয়ে ড্রাইভার গাড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তারা কাজ করতে পারেনি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।