বরিশালের আগৈলঝাড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক দরিদ্র ভ্যানচালককে উপর্যুপরি মারধর ও পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত রোগী ও পরিবারসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের অশোকসেন গ্রামের মৃত আদেলদ্দিন মোল্লার ২য় পুত্র দরিদ্র ভ্যানচালক ফরিদ মোল্লা (৫২) তার শারীরিক কারণে ঔষধ (সিরাপ) কিনে একই পাড়ার খোরশেদ মোল্লার বড় ছেলে দুধ ব্যবসায়ী বাবুল মোল্লা ওরফে জঙ্গল বাবুলের ফ্রিজে রাখে। ফ্রিজে ঔষধ রাখা দেখে বাবুল তা ফেলে দেয়।

শনিবার ফরিদ সেই সিরাপ আনতে গিয়ে তা দেখতে না পেয়ে বাবুলের কাছে কারণ জানতে চাইলে তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার একপর্যায়ে প্রথমে কিল, ঘুষি দিলেও পরে তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটাতে থাকে। এতে ফরিদের মাথা, বুক এবং পাজরে আঘাত লাগে। এসময় একই বাড়ির বাসিন্দা মহিলা মেম্বর শোভা রানী বাবুলকে মারতে বারণ করলেও সে তা না শুনে ফরিদের উপর মারধর চালাতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এগিয়ে এসে ফরিদকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। অভিযুক্ত বাবুল হাসপাতালের ডাক্তারসহ বিভিন্ন লোকজনকে ফোন দিয়ে ফরিদ যাতে হাসপাতালে ভর্তি হতে না পারে তার তৎপরতা চালিয়েছে। বর্তমানে ফরিদ আরএমও ডা. বখতিয়ার আল-মামুনের তত্বাবধানে হাসপাতালের ১নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার পরামর্শক্রমে এক্স-রেসহ বেশ কয়েকটি টেস্ট করা হয়েছে। ফরিদ দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানান জটিলতায় ভুগছে। তার দৈহিক সক্ষমতা না থাকলেও ভ্যান চালিয়ে পরিবারের ভরণপোষনের দায়িত্ব পালন করতে হয়। অপরদিকে বিএনপি সমর্থক বাবুল গ্রামে অনেকের সাথেই বিভিন্ন ঝগড়াঝাটি করে এবং বিভিন্ন স্থানে সরকারের অপপ্রচার চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

এবিষয়ে দায়িত্বরত আরএমও ডা. বখতিয়ার আল-মামুন বলেন, টেস্টের রিপোর্ট দেখে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। চিকিৎসা শেষে আইনী ব্যবস্থা নিতে পারে বলে আহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।