প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পঞ্চগড়ে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর খুন করা হয়েছে। তার নাম সাদিয়া সামাদ লিসা। সে স্থানীয় আটোয়ারী পাইলট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আটোয়ারী উপজেলা সদরের ছোটদাপ এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই বিদ্যালয়ের আকাশ ও মুন্না নামে নবম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে প্রেমের প্রস্তাবকারী অভিযুক্ত সহপাঠী সাদ ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, লিসা উপজেলার ছোটদাপ এলাকার আব্দুস সামাদের মেয়ে। সাদ নামে প্রতিবেশী এক সহপাঠী তাকে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিত। এতে লিসা রাজি না হওয়ায় সাদ একাধিকবার তাকে নানাভাবে হুমকি দেয়।

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, লিসার সঙ্গে আকাশ নামে অপর এক স্কুলছাত্রের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে সম্প্রতি সাদ ও আকাশের মধ্যে মারামারি হয়। এতে আহত হওয়ায় সাদ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর লিসাদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের জানায়, তার (লিসা) জন্যই এই অবস্থা। এ সময় বিকেলের মধ্যে লিসাকে কিছু একটা করার হুমকি দেয় সাদ। এরপর সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল লিসা।

নিহতের বড় বোন সালমা আক্তার আশা জানান, সাদ সব সময় লিসাকে উত্ত্যক্ত করতো। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লিসাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল সাদ। লিসাকে নিয়ে সাদ ও তার এক বন্ধুর মধ্যে মারামারি হয়। বৃহস্পতিবার সাদ এসে আহত হাত দেখিয়ে বলে, লিসার জন্য এটা হয়েছে। তখন সে আমার বোনের কিছু একটা করার হুমকি দেয়। সন্ধ্যায় সাদই আমার বোনকে অপহরণের পর হত্যা করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।

আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমরা মেয়েটি নিখোঁজের খবর পাই। সকালে বাড়ির পাশের পুকুরে তার মরদেহ ভাসছে- এমন খবরে সেখানে গিয়ে আমরা তা উদ্ধার করি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।