ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা থেকে পরিবারের সাথে অভিমান করে মোংলা সুন্দরবনে ঘুরতে আসার কথা বলে বাড়ি থেকে চলে আসে মাতৃহীন কলেজ পড়ুয়া এক তরুণী (২০)। মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুদ শিকদার জানান, রোববার সকাল ১১টার দিকে মোংলা সুন্দরবন ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরতে থাকে মেয়েটি। স্থানীয়রা সন্দেহ করতে থাকে মেয়েটিকে। পরিশেষে রাত ৯টার দিকে গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) ও স্থানীয়রা মিলে খুঁজতে বের হয় মেয়েটিকে। অবশেষে খুঁজে পেয়ে মেয়েটিকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকলে মেয়েটি কোনো কথা বলে না।

স্থানীয়রা জানায়, মেয়েটির ব্যাগে একটি কুরআন শরিফ, একটি বাটি, ১৮ হাত লম্বা একটি রশি, নগদ ৮ হাজার টাকা এবং মোবাইলের বিকাশে ২৫ হাজার টাকা ও পর্যাপ্ত পরনের কাপড় ছিল। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুন্দরবন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) নিয়ে আসে মোংলা থানায় হস্তান্তর করে।

এ বিষয়ে সোমবার সকালে মোংলা থানা এসআই গৌতম জানান, মেয়েটির ‘মা’ নেই, আসলে বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের সাথে অভিমান করে এসেছে মোংলায়। আমরা একাধিক বার জিজ্ঞাসা করেছি, সে পরিবারের সদস্যদের সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করতেই এসেছে বলে আমাদের জানায়।

মোংলা থানার এএসআই সেলিম আহমেদ জানান, কিশোরীর নাম সাহারা (২০)। সে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার কামারডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে মেয়েটির খালা এসে থানা থেকে নিয়ে যায়। মেয়েটি ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর একটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ২য় বর্ষের ছাত্রী বলে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।