বেতন বৈষম্যে নিরসনের আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্তের পরও আন্দোলনে অনড় প্রাথমিক শিক্ষককরা। সোমবার (১৪ অক্টোবর) থেকে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে গ্রেড উন্নয়নের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকরা।

আন্দোলন শুরুর প্রথমদিনেই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। অধিদপ্তর বলেছে কর্মসূচির সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বদরুল আলম  জানান, প্রধান শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে ও সহকারি শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার দাবিতে চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

 বদরুল আলম বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করতে চাইলে তা হবে না। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে কথা বলুক। এখনো পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কেউ আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়নি। শিক্ষক ঐক্য পরিষদ পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সারাদেশের ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়। প্রধান শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে ও সহকারি শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার দাবিতে সোমবার (১৪ অক্টোবর) সারাদেশের ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকল ১০টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত তিন ঘন্টার কর্মবিরতি, বুধবার (১৬ অক্টোবর) এসব বিদ্যালয়ে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন , পরদিন ১৭ অক্টোবর পূর্ণ দিবস কর্ম বিরতি, এরপরেও দাবি আায় না হলে ২৩ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় মহাসমাবেশ করে সেখান থেকে দাবি আদায়না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসুচি রয়েছে তাদের।

সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বস্থ সূত্রে যায় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।

এ পর্যায়ে কোনো ধরণের দাবি আদায়ের কর্মসূচি পালিত হলে তা সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অধিকন্তু সরকারি কর্মচারীগণ এ ধরণের কর্মসূচি ঘোষণা বা অংশগ্রহণ করা সরকারি শৃংখলা ও আপীল বিধিমালা-২০১৮ এর পরিপন্থী। বণির্ত অবস্থায় এধরণের কর্মসূচির সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকগণকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থগ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।