ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা; আমেরিকার দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ এখনও শিখরে পৌঁছেনি। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে এ কথা বলেছে। একই সঙ্গে সংস্থাটি বলেছে, এক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ এক কোটিতে দাঁড়াতে পারে।

ডব্লিউএইচও প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস র্ভাচুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মহামারির প্রাদুর্ভাবের প্রথম মাসে ১০ হাজারেরও কম রোগীর খবর সংস্থাকে জানানো হয়। শেষ মাসে তা ৪০ লাখে পৌঁছায়।  আমরা ধারণা করছি আগামী এক সপ্তাহে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা এক কোটিতে পৌঁছাবে।

টেডরস আরো বলেন, বিনয়ের সঙ্গে আমরা এটা মনে করিয়ে দিচ্ছি যে ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা সম্পর্কিত বিষয়ে গবেষণা অব্যাহত থাকলেও ভাইরাস দমন ও জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করা আমাদের জরুরি দায়িত্ব।

গত ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনা ছড়ানোর পর থেকে বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত অন্তত চার লাখ ৭৭ হাজার ৫শ লোক মারা গেছে এবং আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৯৩ লাখ লোক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি পরিচালক মাইকেল রায়ান সতর্ক করে বলেছেন, আমেরিকার দেশগুলোতে ভাইরাসটি এখনও ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে।

বিশেষ করে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে সংক্রমণ তীব্র।এজন্যে নতুন করে দেশব্যাপী লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, আমেরিকার অনেকগুলো দেশেই সংক্রমণ এখনও শিখরে পৌঁছেনি। এর ফলে সেসব দেশে আগামী দিনগুলোতে সংক্রমণ এবং মৃত্যু অব্যাবহতভাবে চলতে থাকবে।

এদিকে সীমিত আকারে হজ পালনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। টেডরস বলেন, স্বাস্থ্যই আগে সকল দেশের জন্যে এই কঠোর সিদ্ধান্তের জন্যে এটি আরো একটি উদাহরণ।

উল্লেখ্য, সৌদি কর্তৃপক্ষ করোনার কারণে এবার এক হাজার লোককে হজ করার অনুমতি দিচ্ছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ।

এদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২৫ জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ৬১৬২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৪৬ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৫৩ ।  গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৯৯টি। শনাক্তের হার ২১.৯২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮২৯ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৫১ হাজার ৪৯৫ জন। সুস্থতার হার ৪০.৬৭% এবং মৃত্যুর হার ১.২৮ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ৩২ জন ও নারী ৭ জন। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১-৪০ একজন, ৪১-৫০ সাতজন, ৫১-৬০ ৯ জন, ৬১-৭০ ১২ জন এবং ৭১-৮০ সাতজন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৮ জন এবং বাড়িতে ১১ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৬৪৫ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ৩৭৪ জনকে।

আমাদের বাণী ডট কম/২৫ জুন ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।