ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কলন্দা পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন আবুল কাসেম নামে এক ইউপি সদস্য। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।

আবুল কাসেম উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কলন্দা পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে স্থানীয়রা ফেস্টুন ও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করে। মারধরের শিকার ওই ইউপি সদস্য বর্তমানে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে স্থানীয়রা জানায়, ঐ সহকারী শিক্ষক আব্দুস সবুরকে বিদ্যালয়ের কাজে মনযোগী হওয়ার পরামর্শ দিতে গেলে চড়াও হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সামনেই মারধর করে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে মারধরের ঘটনাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেনি তারা।স্থানীয়রা অভিযোগ করেন সহকারী শিক্ষক আব্দুস সবুর নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিদ্যালয়ে আসেন। প্লাকার্ডগুলোতে সহকারী শিক্ষককে গাঁজাখোর বলেও সম্বোধন করেন তারা। বিষয়টির দ্রুত সমাধান না হলে বিক্ষোভ কর্মসূচির পাশাপাশি বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় স্থানীরা।

ইউপি সদস্য আবুল কাসেম মুঠোফোনে জানান, সবার সামনে মারধরের শিকার হয়েছি আমি। এজন্যই স্থানীয়রা বিষয়টি সমাধানের জন্য বিক্ষোভ করেছে। তবে আমি তো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুল হক চৌধুরী জানান, বিষয়টি আন্দোলনে রুপ নেবে ভাবতে পারিনি। স্থানীয় শিক্ষা অফিসে বিষয়টি বিকালে লিখিতভাবে জানানোর জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্দেশ দিয়েছেন।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বলেন, লিখিত কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে বিভাগীয় তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে পতাকা দেরি করে উত্তোলন করতে গেলে মোবাইল ফোনে ছবি তুলেন সহকারী শিক্ষক আব্দুস সবুর। এ সময় ছবি তোলাকে কেন্দ্র মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক একরামুল হক চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক আব্দুস সবুর, সুলতানা রাজিয়া আহত হন ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।