ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমকে লাঞ্ছিত করেছে আলমগীর হোসেন নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের  সাবেক শিক্ষার্থী। আজ সোমবার (০৬ জানুয়ারি ২০২০) বেলা বারোটায় মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই শির্ক্ষাথীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সুত্রে জানা যায়, সোমবার বেলা বারোটার দিকে বিভাগের করিডোরে এক অপরিচিত ব্যক্তি ঘোরাঘুরি করতে দেখে, তার পরিচয় জানতে চান ড. জাহাঙ্গীর আলম। পরিচয় জানতে চাইলে আলমগীর বলেন, আমার আত্বীয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তার তার কাছে এসেছি। পরে ওই কর্মকর্তার খোঁজ নেন কিন্তু তার পরিচয়ে মিল পাননি তিনি। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি জাহাঙ্গীর আলমের রুমে গিয়ে তাকে ঘূুষি মেরে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে প্রক্টরের কাছে হস্তান্তর করলে তিনি তাকে পুলিশে দেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তি জানায়, সে লোক প্রশাসন বিভাগে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তৎকালীন সময়ে, উক্ত শিক্ষক তার সাথে দুর্ব্যবহার করার কারণে সে প্রতিশোধ নিতে এসেছে।

এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। দুপুর একটায় মিছিল শুরু করে অনুষদ ভবনের সামনে এসে শেষ করে। এসময় ‘আমাদের শিক্ষক লাঞ্ছিত কেন-প্রশাসন জবাব চাই’ ক্যাম্পাসে বহিরাগত কেন-প্রশাসন জবাব চাই’ সহ বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বহিরাগতদের কারণে ক্যাম্পাস দিন দিন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। শিক্ষক শিক্ষর্থীরাসহ দিন দিন বিভিন্ন ঘটনার শিকার হচ্ছে। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের উৎপাত নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে ও শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বিকালের দিকে ক্যাম্পাসে বেরুলে বহিরাগতদের কারণে চলাফেরা করাই দুষ্কর। বগিরাগতরা গাজা খাওয়ার জন্য ক্যাম্পাসকে নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহার করে। কারণ তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাহিরে গাজা খেতে পারেন না। তাদের কারণে আমরা নিত্য দিন বিভিন্ন ঘটনার শিকার হচ্ছি। আজকের এই ঘটনার তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচারের ব্যবস্থা হোক। আমাদের দাবী, ভবিষ্যতে আর যেনো কোন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সাথে এরকম কোন ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি ভবনের করিড়োরে দাড়িয়ে ছিলাম হঠাৎই আমার উপর আক্রমন করে। আমরা বিভাগ থেকে একাডেমিক কমিটির মিটিং থেকে প্রশামসনের নিকট তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য দাবী জানিয়েছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ বলেন, অভিযুক্তকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।