ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ফলে বাংলাদেশ আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষিত জাতি হিসেবে বাংলাদেশ যেন গড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশকে উচ্চমর্যাদায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই সর্বপ্রথম ই-পাসপোর্ট চালু করতে সক্ষম হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ৯৬ সাল থেকে আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছিলাম।

তখন শেষ করতে পারিনি। পরে ক্ষমতায় এসে সেগুলো করি। আজকে প্রায় সমগ্র বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেব দিতে সক্ষম হয়েছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট চালু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। শুরুতে উত্তরা, আগারগাঁও ও যাত্রাবাড়ী পাসপোর্ট অফিস থেকে দেওয়া হবে ই-পাসপোর্ট।

সারাদেশে বিভিন্ন স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে মোট ৫০টি ‘ই-গেট’ স্থাপন করা হবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপন করা ৯টি ‘ই-গেট’ দিয়ে সুবিধা মিলবে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারের।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে সর্বপ্রথম ই-পাসপোর্ট পাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে ই-পাসপোর্টের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষর ও ছবি নেওয়া হয়েছে।

রবিবার ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খানের নেতৃত্বে একটি দল গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও ডিজিটাল স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে। অন্যদিকে, এ পাসপোর্ট চালুর ক্ষেত্রে বিশ্বে ১১৯তম দেশ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।