ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা;  বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়নের সভাপতি সাইফুল হক ও সাধারণ সম্পাদক আকবর খান আজ  রবিবার (১০  মে ২০২০) এক বিবৃতিতে ঈদের আগে খেতমজুরসহ গ্রামীণ নিঃস্ব পরিবারসমূহকে কমপক্ষে এক মাসের খাদ্য ও নগদ ৫ হাজার টাকা প্রদান করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন খেতমজুরসহ গ্রামীণ শ্রমজীবীদের এক বড় অংশ এখনও সরকারের ত্রাণ তালিকার বাইরে।

নেতৃবৃন্দ ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন সরকারি নির্দেশনায় দ্বিতীয়বার দুঃস্থ্য ও গরীবদের যে তালিকা করা হয়েছে তাতেও রয়েছে দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি ও গুরুতর অনিয়ম। দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতির সীমাহীন অনিয়ম সম্পর্কে নানা পর্যায়ে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। এক পরিবারের একাধিক সদস্যকেও ত্রাণের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। যেসব পরিবারের এই মুহুর্তে ত্রাণ দরকার নেই সরকারদলীয় সেসব পরিবারকে ত্রাণ প্রদানের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। সরকারের ৬৪ জন সচিব ৬৪ জেলার সমন্বয়ের দায়িত্ব নেবার পরও অধিকাংশ জেলায় দলীয়করণ ও অনিয়ম পরিস্থিতির বিশেষ কোন উন্নতি হয়নি।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, নেত্রকোনার সদর, মোহনগঞ্জ, কলমাকান্দা, আটপাড়া, মদন, ময়মনসিংহের সদর, মুক্তাগাছা, হালুয়াঘাট, শেরপুর, নালিতাবাড়ী, কিশোরগঞ্জ সদর, বাজিতপুর, টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর, গাইবান্ধা সদর, বগুড়ার গাবতলী, ধনুট, সারিয়াকান্দি, গোবিন্দগঞ্জ, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সদর, খুলনা সদর, তেরখাদা, দীঘনায়া, রূপসা, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া, ঢাকার সভার, কিশোরগঞ্জ, পাকুন্দিয়া, লক্ষ্মীপুর, মুন্সিগঞ্জ সদর প্রভৃতি উপজেলাসহ অধিকাংশ উপজেলাতেই নিঃস্ব-অসহায় হাজার হাজার পরিবারকে সাহায্যের তালিকাভুক্ত করা হয়নি। এদের অধিকাংশ আবার সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিরও বাইরে।

নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন করোনা দুর্যোগ প্রলম্বিত হলে খেতমজুর ও গ্রামীণ শ্রমজীবীদের সংকটও আরো বৃদ্ধি পাবে।

নেতৃবৃন্দ এই দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় গ্রামীণ শ্রমজীবীদের জন্য স্বল্পমূল্যে ‘পল্লী রেশনিং ব্যবস্থা’ চালু করার দাবি জানান।

আমাদের বাণী ডট/১০ মে ২০২০/পিবিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।