এনটিআরসিএর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগে অনীহা প্রকাশ করছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্ত সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, সুপার ও সহকারী সুপার নিয়োগের বিষয়টি এনটিআরসি আইনের আওতায় আনা যুক্তিসঙ্গত হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

এছাড়া প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগের জন্য প্রতিষ্ঠান নিয়োগে গভর্নিং বডির ম্যানেজিং কমিটিকে আরও শক্তিশালী করতে প্রবিধান সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, গত ১৪ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, সুপার, সহকারী সুপার এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ দিতে বিধি প্রণয়নের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ। সভায় প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগের বিষয়টি এনটিআরসিএর আইনের আওতায় আনা যুক্তিসঙ্গত হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্মকর্তারা।

উপসচিব কামরুল হাসান সভাকে জানান, বিদ্যমান আইন মতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে তালিকা প্রণয়ন, নিবন্ধন ও প্রত্যয়নের কাজ করে এনটিআরসিএ। তবে, বিধি সংশোধন করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়োগের সুপারিশের দায়িত্ব এনটিআরসিএ’কে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানান, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, সুপার এবং সহকারী সুপার এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ সঠিক হবে না বলে সভায় মন্তব্য করেন মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমদ। এনটিআরসিএ নয়, অধিদপ্তরগুলোর মহাপরিচালকের মধ্যেমে নিয়োগ দেয়া হলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ বলেন, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, সুপার এবং সহকারী সুপার নিয়োগ এনটিআরসিএর আইনের আওতায় আনা খুব কঠিন হবে। তবে, নিয়োগ কমিটিকে শক্তিশালী করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করা যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বিস্তারিত আলোচনা শেষে সভায় এসব পদে নিয়োগের বিষয়টি এনটিআরসিএ আইনের আওতায় আনা যুক্তিসঙ্গত হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগের জন্য প্রতিষ্ঠান নিয়োগে গভর্নিং বডির ম্যানেজিং কমিটিকে আরও শক্তিশালী করতে প্রবিধান সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেনে কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। সভায় প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সব পদে নিয়োগ এনটিআরসিএর মাধ্যমে দেয়ার জন্য কী কী পরিবর্তন করতে হবে তার একটি প্রস্তাব তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানাতে এনটিআরসিএকে বলা হয়েছিল।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।