স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এইচএসসি বিএম কলেজের শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। এমপিওভুক্ত হতে যাচ্ছে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিএম কোর্স। বিএম কলেজ এমপিওভুক্তির জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষকরা। বেসরকারি কারিগরি শিক্ষক সমিতির শিক্ষক নেতারা এ নিয়ে কর্মসূচিও পালন করেছেন।

বিএম কোর্স এমপিওভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।

তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল- জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অবশেষে এইচএসসি (বিএম) কোর্স এমপিওর তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে। এজন্য মানবতার জননী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেলকে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

এছাড়া অবসর বোর্ড থেকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা তাদের মূল বেতনের ৭৫ মাসের যে সুবিধা পেতেন তা কমিয়ে ৫০ মাসে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে কে বা কারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে শিক্ষক কর্মচারীদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এছাড়াও কল্যাণ ট্রাস্টে ২৫ মাসের বেতনের সমপরিমান যে সুবিধা পাওয়ার কথা তা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে ফেইসবুকে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।

অনেকেই ফোন করে আমার কাছে জানতে চাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে কল্যাণ ট্রাস্টে ২৫ মাস নয়, ২০১৯ সালে যে সকল শিক্ষক কর্মচারী অবসরে যাচ্ছেন তারা তাদের মুল বেতনের ২৯ মাসের সমপরিমাণ টাকা পাচ্ছেন। শুধু তাই নয় জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার ফলে অবসর বোর্ডেও ৫ শতাংশ অতিরিক্ত টাকা পাচ্ছেন।

সুপ্রিয় শিক্ষক বন্ধুগণ, শিক্ষক কর্মচারীদের স্বার্থে দেশের প্রধান প্রধান শিক্ষক কর্মচারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের লিখিত মতামতের ভিত্তিতে কল্যাণ ট্রাস্ট এবং অবসর বোর্ডের ২+২ শতাংশ চাঁদা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের থেকে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত ছিল।

প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য ৪ শতাংশ অতিরিক্ত চাদার সুবিধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীরা পেতে শুরু করেছেন। তারা এখন দ্রুত কল্যাণ সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়া শিক্ষক কর্মচারীরা ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছেন। সবাই ভালো থাকবেন। সবার জন্য শুভকামনা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।