ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা;  মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম সাদেকের দুর্নীতির অভিযোগে গত মঙ্গলবার (১৯ মে ২০২০)  তাকে দিনভর অবরুদ্ধ করে রাখেন মাদরাসা শিক্ষকরা। এরপর পুলিশ তার অফিস রুম থেকে ১৭ হাজার টাকা জব্দ করেছে। এবিষয়ে থানায় জিডি হয়েছে। তবে শিক্ষা কর্মকর্তা ঘুষ গ্রহণের কথা অস্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, সদ্য এমপিওভুক্ত হওয়া উপজেলার শাহপুর জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষকদের ফাইল আটকে রেখে ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম সাদেকের বিরুদ্ধে। তিনি ঘুষ নিয়েও কাজ না করার অভিযোগে মাদরাসার শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা তাকে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সেখান থেকে ঘুষের সতের হাজার টাকা জব্দ করে জুড়ী থানা পুলিশ।

মাদরাসার সুপার মো. আবুল হোসেন জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম সাদেক কয়েকটি ফাইলের জন্য ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। এ টাকা না পেয়ে তিনি নানাভাবে নাজেহাল করেন শিক্ষকদের। পরে ১৭ হাজার টাকা নিলেও তিনি কাজ করে দেননি। বরং অফিস সহকারির কাছে টাকা দিয়ে তিনি চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এনিয়ে বাকবিতন্ডা হলে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে জুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম অফিসে গিয়ে ১৭ হাজার টাকা জব্দ করেন।

অভিযুক্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম সাদেক বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ সঠিক নয়। মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জন্য ফাইল প্রস্তুতে কোন টাকা পয়সার লেনদেন হয়নি। তারা জোরপূর্বক আমার টেবিলের ওপর টাকা রেখে নাটক সাজিয়েছেন।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, ‘ঘটনার ব্যাপারে মাদরাসা সুপার থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। সতের হাজার টাকা জব্দ করে জিডির কপিসহ দুদকে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে মৌলভীবাজারজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আমাদের বাণী ডট কম/২১ মে ২০২০/পিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।