ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার দয়ারামপুর বাজারটি অতিপুরাতন। দয়ারামপুর বাজারটি কখন বা কোন সময় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা কেউ বলতে পারেনি। তবে বাজারটি অতিপুরাতন বলেই সকলেই জানেন। বাজারটির নিকটেই সাফদারপুর বাজার ও ট্রেনস্টেশন রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ স্বাধীনের আগ থেকেই আত্র এলাকায় দোড়া বর্তমানে দয়ারামপুর গ্রামের লোকজন মন্ডল মাতবরের ভুমিকা পালন ও বিচারশালিশ করতেন। স্বাধীনতার যুদ্ধেও গ্রামের লোকজন ব্যাপক ভুমিকা রাখেন। পাশে শুয়াদি গ্রামে পাকিস্থানীদের সাথে মুক্তিযুদ্ধের একাধিক স্মৃতি রয়েছে। দয়ারামপুর গ্রামের হাবিল ও কাবিল উদ্দিন সে সময়কার মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার ছিলেন। স্বাধীনের পর জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার ২নং দৌড়া ইউনিয়নের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন কাবিল উদ্দিন। পরবর্তিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত কথিত সর্বহারা পার্টির কিছু বিচ্ছিন্ন উগ্র সদস্যেরা নিজেদের হীন স্বার্থে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দিনকে ইউনিয়ন ভবনে নিজ কার্যালয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। তারই ভাই বীরমুক্তিযোদ্ধা কাবিল উদ্দিন বর্তমানে দৌড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। গ্রাম ও বাজারটির ব্যবসার কারনে ব্যাপক সুনাম রয়েছে। কিন্তু উন্নতির তেমন কোন প্রসার ঘটেনি। বাজারটিতে হাইস্কুল, দাখিল মাদ্রাসা, প্রাইমারি, পোষ্ট অফিস, বালিকা বিদ্যালয়সহ নানা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এলাকাবাসী সাংবাদিকদের মাধ্যমে সরকারের কাছে কোটচাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী ও অতিপুরাতন দোড়া ইউনিয়নের এই দয়ারামপুর বাজারটির দিকে উন্নতির হাত এগিয়ে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।