নিজস্ব সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম; বিশ্বব্যাপী দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত বিশ্বের প্রতিটি দেশেই যেন বিদ্যুতের গতিতে এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এর সংখ্যা। সাথে লাশের মিছিলও হচ্ছে বড়।  এরমধ্যেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মারা গেছেন মোট ৫ জন। এদিকে  প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাস ঝুঁকিতে রয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানসহ প্রায় ১৬ জন শিক্ষক । তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রদীপ চক্রবর্তী।

কক্সবাজারের এক অধ্যক্ষ বলেন, মায়ের অসুস্থতার মধ্যেও বৈঠকে যাওয়া ঠিক হবে- এমন কথা ডেপুটি কন্ট্রোলারকে (নারায়ন নাথ) আমি বারবার বলেছি। মিটিংয়ে যাওয়া উচিত হবে না। তিনি জোর করে আমাকে মিটিংয়ে নিয়ে গেছেন।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে সরকার নির্দেশনা দিয়েছেন। ঘরোয়াভাবে পরীক্ষার বিষয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষে বৈঠক হয়।

এতে কক্সবাজারের ওই অধ্যক্ষ তার মায়ের অসুস্থতার কথা জানাননি। করোনা ভাইরাস বিষয়ে বোর্ডে কাউকে বলেননি। জানতে পারলে এমন ঘটনা বা বৈঠকে উপস্থিত হতে কেউই বলতেন না।

নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও চেয়ারম্যান এবং আমিসহ প্রত্যেকেই প্রায় ১০ থেকে ১২ ফুট দূরেই ছিলাম। তবে অনেকেই এটা নিয়ে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়া হচ্ছে। তারপরও আমিসহ সবাই কিন্তু হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।

সবাইতো বাচঁতে চান জানিয়ে তিনি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক ছিল। তখনও চূড়ান্ত হয়নি পরীক্ষা স্থগিত হবে। বৈঠকে আসা সবাইকে কক্ষে প্রবেশের আগেই সাবান ও হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ানো হয়।

কক্ষে ঢোকার পর স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ানো হয়। এরপর তারা বৈঠক করেন। এখানে দ্রুততার সাথেই দূরত্ব বসায় রেখেই ঘরোয়া পরিবেশেই বৈঠক শেষ করেন।

তাছাড়া এখন তো সব বন্ধ, সবাই কিন্তু সর্তকও রয়েছেন বলে জানান বোর্ড চেয়ারম্যান।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী বলেন, কক্সবাজার কলেজের যিনি অধ্যক্ষ, তিনি আক্রান্ত নন। এখনো তার অসুস্থতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

তারপরও মিটিং করা উচিৎ হয়নি। মিটিংয়ে যারা ছিলেন, এটা তো সবার জন্য অবশ্যই ঝুঁকি তৈরি করেছে। এখন সবার হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা উচিৎ।

উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো পাঁচজনে। আর নতুন করে কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। গতকাল পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ৩৯ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ জন।

আমাদের বাণী ডট কম/২৬ মার্চ ২০২০/টিএ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।