কলাপাড়ায় নির্ধারিত টোল ঘর থাকা সত্ত্বেও লঞ্চঘাটের সড়কসহ শহরের বিভিন্ন ফুটপাত দখল করে বসেছে সবজিসহ ফলের বাজার। আর এতে করে ভোগান্তি পোহাচ্ছে এসব সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারীসহ যানবাহনে চলাচলকারী যাত্রীরা। ফলে প্রায়:শই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। তবে সাধারন মানুষের এ দুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে আসছেনা কেউ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কলাপাড়ার লঞ্চ ঘাটের প্রধান সড়কটির প্রস্থ মাত্র ১০ ফুট। এ ঘাট থেকে প্রতিদিন রাঙ্গাবালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে তিন থেকে চারটি লঞ্চ। আর এ ঘাটের সড়কটি দখল করে হাটের দিন মঙ্গলবারসহ প্রায় প্রতিদিনই বসছে সবজির বাজার। সড়কের দু’পাশে দোকনগুলো এমনভাবে বসানো হয়েছে যানবাহন চলাচল তো দুরের কথা একজন মানুষই ঠিকমত হাটতে পারছেনা। এ সড়ক দিয়ে চাপাচাপি করে চলতে গিয়ে প্রায়:শই ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারন মানুষ। এছাড়া শ্রী-শ্রী মদনমোহন আখড়া বাড়ীর প্রবেশ সড়ক দখল করেও প্রতিদিন বসছে সবজির বাজার। অথচ মাছ বাজারের পাসে এসব সবজির বাজারের জন্য নির্ধারিত টোল ঘর রয়েছে। কিন্তু সেটা সব সময়ই থাকছে ফাঁকা।

এদিকে কলাপাড়া পৌর শহরের শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়কের দু’পাশ, সদর রোডের বাইপাশ ফলপট্রি সড়কের দু’পাশ, সদর রোডের দু’পাশ, এতিমখানা চৌরাস্তা সড়কের দু’পাশসহ বিভিন্ন সড়ক দখল করে প্রতিদিন চলে সবজি ও মাছ বেচা কেনা। এসব সড়কে অস্থায়ী দোকনগুলো বসার ফলে ঠিকমত রিক্সা, অটো কিংবা অন্যান্য যানবাহন চলাচলে বেগ পেতে হচ্ছে। এমনকি হাটের দিন পথচারী চলাচলেও কষ্ট হয়। ঈদ বাজারকে সামনে রেখে ক্রেতাদের ভীড় যতই বাড়ছে ততই যেন এসব সড়কে অস্থায়ী দোকানের সংখ্যা বাড়ছে। এ যেন দেখার কেউ নেই।

কলাপাড়া পৌর শহরের বাসিন্দা আল-আমিন জানান, সড়কের দু’পাশে দোকানগুলো এমনভাবে বসানো হয় হাটা চলারও যায়গা থাকেনা। অনামিকা বিজনেস সেন্টারের সত্ত্বাধীকারি দেবাশীষ মুখার্জী জানান, ঈদকে সামনে রেখে বেচাকেনা ভাল থাকলেও মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা দোকানের সামনে বসার কারনে বেচা-বিক্রি একটু বিঘিœত হচ্ছে। সত্তোরোর্ধ্ব রিক্সা চালক মালেক মিয়া জানান, সদর রোডের বাইপাশ সড়কের ফলপট্রিতে লিচুসহ বিভিন্ন ফলের দোকান বসানো হয়েছে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন সড়কের দু’পাশে সবজি ও মাছের দোকান বসানো হয়। দুটি রিক্্রা একসাথে ওভারটেক করা অসম্ভব। অটো চালক সাইফুল জানান, হাটের দিন লঞ্চ ঘাটের সড়কটি পুরোপুরি বন্ধ করে রাখা হয়। অসুস্থ যাত্রী নিয়েও গাড়ী ঢোকানো যায়না।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) অনুপ দাশ জানান, এব্যাপারে আমারা জানা ছিলনা। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরূরি ভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছি।
\

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।