মোঃ জাফরুল হাসান, কালকিনি (মাদারীপুর) সংবাদদাতা;  বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশে মহাসংকটে পড়েছে নিন্ম ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। কারণ করোনার কারণে মানুষ কাজে যেতে পারছে না। অনেকের আয়ও বন্ধ হয়ে গেছে। জমানো অর্থ দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন কেউ কেউ। তবে মানুষের সংকটময় পরিস্থিতিতে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসছে সাধারণ মানুষ।

ঠিক তেমনিই ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এই শ্লোগানকে বুকে ধারন করে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষীপুর এলাকার রায়পুর গ্রামের প্রায় ৩’শতাধীক অসহায়, দরিদ্র পরিবারের মাঝে আজ শুক্রবার সকালে খাদ্য ও ঈদ সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আলোর পথে রায়পুর’। সংগঠনটির আয়োজকরা বলছেন, করোনার কারণে গ্রামের মানুষের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। সংক্রমণ এড়াতে ঘরবন্দী থাকতে গিয়ে খাদ্য সংকটে পড়েছেন তারা। আর একদল স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থী সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি আসন্ন ঈদের জন্য ঈদসামগ্রীও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

তাঁরা জানান, করোনার শুরুর পর থেকে সংক্রমণ এড়াতে মানুষের সচেতনতায় এলাকায় মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, বাড়িতে বাড়িতে সাবান বিতরণ, কেউ বাইরে থেকে আসলে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ, মাক্স বিতরণ, বাজারে যাতায়াত পথে সাবান পানির ব্যবস্থা, বাজারে মানুষের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে কাজ করেছি। আমরা কয়েক ধাপে এই গ্রামের প্রায় ৩’শতাধীক অসহায়, দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য ও ঈদ সামগ্রী উপহার দিয়েছি। এবং ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ৩০টি পরিবারের বাচ্চাদের মধ্যেও পোষাক বিতরণ করা হয়েছে।

আলোর পথে রায়পুর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় আমরা শুরু থেকে এ অঞ্চলের মানুষকে সচেতন করার জন্য সব কিছু করছি। ত্রাণ বিতরণ করেছি। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, গ্রামের খেঁটে খাওয়া মানুষ করোনার কারণে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের এখন কোনো আয় নেই। বড় সংকটে রয়েছে মানুষ। তাদের সংকটময় মূহুর্তে আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। যতদিন প্রয়োজন, ততদিন মানুষের জন্য ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। আমরা সবাই মিলে এই মহামারি জয় করবো ইনশাল্লাহ।

আমাদের বাণী ডট/০৮ মে ২০২০/পিবিএ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।