ইতিমধ্যে রাজবাড়ী জেলায় ৪ উপজেলায় চতুর্থ ধাপে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে,বাকি কালুখালী উপজেলা পরিষদে ১৮ জুন ৫ম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।কিন্ত প্রতিক বরাদ্দের পরেই শুরু হয়েছে নেতাকর্মীদের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ।

কালুখালি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ সমর্থীত নৌকার প্রার্থী, কাজী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দলীয় নেতার্মীদের অবমূল্যায়ন, চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে দুর্নীতি করে অবৈধ ভাবে আলিশান বাড়ী ও জমি কেনা সহ এবং দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও জেলা  পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মজনু।

শনিবার বেলা ১১:৩০ টার দিকে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মজনু বলেন, কালুখালি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ সমর্থীত নৌকার প্রার্থী, কাজী সাইফুল ইসলাম ছিলেন, একজন অন্ধকার জগতের লোক। তাকে ভালো করার উদ্যেশ্যে প্রথমে মাঝ বাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। পরর্বতীতে কালুখালি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বচিত করেন। এর পরে তাকে নব-গঠিত কালুখালি উপজেলা পরিষষেদর চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে থেকে কালুখালি উপজেলার নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করা শুরু করেন। ৭টি ইউনিয়নের নেতার্মীদের সাথে তার ভালো সম্পর্কও নেই। উল্টো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে ভয়ভিতি দেখানো শুরু করেছেন। তিনি আমাকেও মেওে ফেলার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন। আমি নিজেই এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সে কারনেই আজ সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে জানাচ্চি যে আমি বাচঁতে চাই আমাকে নিরাপত্তা দিন। কিছু আগেও সাইফুলের ভাই মাঝবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শরিফুল ইসলামও আমাকে গাড়ির নিচে পিশে হত্যা করার হুমকি দিয়েছে। তাই আমি আজ অ-নিরাপত্তায় ভুগছি।

তিনি আরো বলেন, সাইফুল মূলত করতো বিএনপির রাজনীতি, এখনো তার বিএনপির নেতার্মীদের সাথে নিবির সম্পর্ক রয়েছে।

কালিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওয়াব আলীসহ অন্যন্য চেয়ারম্যানরা তাদের বক্তব্যেও এসব কথা উঠে আসে।

অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কালুখালি উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আকামত আলী, কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নবাব, কালুখালি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, দেওয়ান মোঃ আরাফদ, জাকির হোসেন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য,মোঃ খাইরুল ইসলাম, মৃগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান সাগর, বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হালিমা আক্তার, সাউরাইল ইউনিয়নের চেযারম্যান শহিদুল ইসলাম আলী, মদাপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম, রতনদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শাহ আজিজ, উপ-প্রচার সম্পাদক প্রমুখ।

উল্লেখ্য আসন্ন কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের প্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলাম নৌকা প্রতীক কাস্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী হক মোটর সাইকেল ও সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আলিমুজ্জামান চৌধুরী টিটো আনারস প্রতীক নিয়ে এবং পুরুষ ভাইস-চেয়ারম্যান ৭ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।