প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় ২৩ বার ধারালো অস্ত্রের কোপ পড়েছিল শরীরে। কুপ্রস্তাবে না বলেছিলেন বলে এমন আক্রমণ হয়েছিল সেদিন। এই ঘটনা পাকিস্তানে নারীর প্রতি সহিংসতার অনন্য প্রমাণ হয়ে ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শুরু হয় প্রতিবাদ। বিচার শুরু হয় হুসেনের।

তবে খাদিজা সিদ্দিকী কিন্তু থেমে থাকেননি, চালিয়ে গেছেন পড়ালেখা। সম্প্রতি লন্ডনের সিটি ল স্কুল থেকে তিনি তার ডিগ্রি অর্জন করেছেন। খাদিজা এখন একজন ব্যারিস্টার।

প্রায় ১২টি পরীক্ষা দেওয়ার পর বর্তমানে খাজিদা সিদ্দিকি একজন ব্যারিস্টার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তার বেশ ভালো রেজাল্টের কথা জানানো হয়েছে।

ব্ল্যাকস্টোন স্কুল অফ ল (ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন) থেকে নিজের পড়াশোনা শেষ করলেন খাজিদা। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এখানে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। আপাতত সেখানে থেকেই কিছুদিন প্র্যাকটিস করতে চান তিনি। তবে অবশ্যই পাকিস্তানে ফিরে আসতে চান।

তিনি বলেন, ‘সব সময়ই ইচ্ছা পাকিস্তানের মানুষের জন্য কাজ করা। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আমাকে তিনি সেই শক্তি দিন যাতে যার মুখের শব্দ হারিয়েছে তাকে শব্দ দিতে পারি।’

২১ বছরের খাজিদা সিদ্দিকিকে ভয়াবহ আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল। লাহোরের শাহ হুসেইন নামে এক ব্যক্তির কুপ্রস্তাবে সাড়া দিতে চাননি তিনি, সে কারণেই তার উপর হামলা চালানো হয়। লাহোরের রাস্তায় বোনের সঙ্গে যাওয়ার সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছিল। এরপর চুপ থাকেননি খদিজা। নিজের লড়াই চালিয়ে অভিযুক্তকে সাজা দিতে পেরেছিলেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।