কু্ষ্টিয়ার কুমারখালীর চাষীরা পাট বিক্রিতে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না এই জেলায় কোন পাটক্রয় কেন্দ্র না থাকায় এক শ্রেণীর ফড়িয়া ও মহাজনী পাট ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কম মূল্যে পাট বিক্রি করতে বাধ্য করচ্ছেন। এর ফলে চাষীরা পড়ছে ক্ষতির মুখে ।

পাটের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় ।পাট নাজিম মন্ডল জানান, এবার এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে কৃষকদের খরচ হয়েছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। পাট বিক্রি করে কৃষক পাচ্ছে ১০-১২ হাজার টাকা। জেলায় পাট ক্রয়কেন্দ্র না থাকায় সরকারের বেঁধে দেওয়া মণপ্রতি ১ হাজার ৯৫০ টাকায় পাট বিক্রি করতে পারছেন না এখানকার চাষীরা।

চাষীদের আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় এক প্রকার বাধ্য হয়ে প্রতি মণ পাট ব্যবসায়ীদের কাছে এক হাজার ২শ থেকে এক হাজার ৬শ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে মধ্যসত্বভোগীরা লাভের মুখ দেখছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মূল চাষীরা।

কেশপুর গ্রামের পাট চাষী আমোদ আলী জানান, চলতি বছরে ৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। এবার আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। সেচ নির্ভর হয়ে পাট বড় করতে হয়েছে। আবার বৃষ্টির পানি না থাকায় পাট জাগ দিতে হয়েছে নানা সমস্যা । এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

পাট ব্যবসায়ী কেশপুর গ্রামের খাইরুল ইসলাম,ও হাবিব জানান, পাট ক্রয় কেন্দ্র এই জেলাতে না থাকার কারনে, ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করছে। যত্রতত্র পাট জাগ দেয়া ও কাদা মাটি দিয়ে পাট পচানোর কারণে পাটের রং নষ্ট হয়ে গেছে ফলে কম দামে মিলারদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে। সনাতন পদ্ধতিতে পাট পঁচানো বন্ধ করলে পাটের রং ভাল হবে ও মূল্য পাবেন চাষীরা।

স্হানীয় কৃষি কর্মকর্তা জানান, চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আবার পাট পঁচানোর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারপরও চাষীরা সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দেয়। এতে পাটের রং কিছুটা নষ্ট হওয়ায় তেমন দাম পাচ্ছেন না চাষীরা। তবে সরকারি ভাবে ক্রয় কেন্দ্র খোলা হলে চাষীরা আরও মূল্য পেত।

এই এলাকার চাষীদের দাবী, সরকারি ভাবে যদি জেলাই পাট ক্রয় কেন্দ্র খোলা হয় তাহলে চাষীরা লাভবান হবে ।

বিজ্ঞাপন হারুন ক্লিনিক

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।