নতুন সড়ক আইন সংশোধনের দাবিতে কুষ্টিয়ায় পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন বাসচালকরা। এতে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাসহ আভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সকালেও শহরের মজমপুর ও চৌড়হাস এলাকায় টার্মিনালে গিয়ে বাস না পেয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেকেই বিকল্প হিসেবে ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ তিন চাকার বিভিন্ন যানবাহনে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পুলিশের প্রতিনিধি ও পরিবহন শ্রমিক এবং মালিকদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এই সভায় দীর্ঘ আলোচনায় নতুন সড়ক পরিবহন আইনে কিছুটা শিথিলতার দাবি জানান পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
এসময় মুঠো ফোনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবী শুনে আশ্বাস দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট আপাতত প্রত্যাহার করে গতকাল সকাল থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
এ নিয়ে রাতে চালকদের সাথে আলোচনায় বসেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। চালকরা পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের কথা মানতে রাজি হয়নি। ফলে আবার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন চালকেরা।
এদিকে কুষ্টিয়া থেকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় জেলার কয়েকটি রেল স্টেশনে যাত্রীদের তীব্র চাপ বেড়েছে।
এদিকে বাসের টিকিট না পেয়ে জোর করে ট্রেনে উঠছেন যাত্রীরা। জেলার বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল কুষ্টিয়া বাস টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মিনি পিকআপ, মাইক্রোবাসসহ ছোট গাড়িগুলোতে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে হচ্ছে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন বলেন, ‘পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করা হয়েছিল। এ সময় মালিক ও শ্রমিকদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। চালক ও শ্রমিকরা বিষয়টি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করবে বলে আমরা আশা করছি।’