কুষ্টিয়ার খাজানগরে তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল ছাত্র মারা যাওয়ার ঘটনায় নিরিহদের আসামী করার অভিযোগ উঠেছে । স্থানীয়রা জানায়, স্কুল ছাত্র মেহেদী হাসান হৃদয়ের মারপিটের ঘটনার আবজাল,হালিম,রাজ্জাক ও শাকিল এলাকায় না থাকলেও তাদেরকে আসামী করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার দোস্তপাড়ার নিরিহ স্বভাবের স্কুল ছাত্রের নাম মেহেদী হাসান হৃদয়।

গত ১ মার্চ কুষ্টিয়া খাজানগরের নর্থ বেঙ্গল রাইচ মিল চাতালে ওয়াজ মাহফিল চলছিলো। কতিপয় বখাটে বন্ধুদের সাথে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠানে যায় হৃদয়। মাহফিল চলাকালে হৃদয়ের বখাটে বন্ধুরা স্থানীয় মেয়েদের গায়ে চিনা বাতামের খোসা ছুড়ে উত্তাক্ত করে। এ নিয়ে হৃদয় সহ ওই বখাটে ছেলেদের সাথে হাতাহাতি হয় স্থানীয়দের। পরে মাহফিল পরিচালনা কমিটি বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। মাহফিলের ৩ দিন পর সন্ধায় হৃদয়ের বন্ধু সুমন ,জিহাদ,রাসেল ও ইউসুফ জোট বেধে পুনরায় খাজানগরের নর্থ বেঙ্গল রাইচ মিল এলাকায় যায়। তারা পূর্ব ঘটনার বদলা নিতে কতিপয় নিড়িহ মানুষকে মারপিট করে। এসময় স্থানীয়রা জোট বেঁধে প্রতিবাদ করলে হৃদয়ের বন্ধু সুমন ,জিহাদ,রাসেল ও ইউসুফ পালিয়ে যায়। নিড়িহ হৃদয় ধৃত হয় জনতার হাতে। এসময় তাকে মারপিট করলে হৃদয় গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রাই হৃদয়কে কুষ্টিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত ঢাকায় স্থানান্তর করে।

এ ঘটনার পরদিন গত ৪-৩-২০১৯ ইং হৃদয়ের চাচা আবুছ উদ্দিন কুষ্টিয়া মডেল থানায় ১৩ জনকে আসামী করে একটি এজাহার দায়ের করে। মামলা নং ১০। মামলার এজাহারের বাদী হৃদয় ও তার বন্ধু সুমন , জিহাদ,রাসেল ও ইউসুফকে সন্ধায় খাজানগরের রাইচ মিল এলাকায় যাওয়ার ঘটনাটি প্যাকটিক্যাল খাতা আনার জন্য বলে উল্লেখ্য করেছেন। এছাড়া মামলায় যাদের আসামী করেছে তাদের অনেকে ঘটনার সময় কুষ্টিয়া ছিলো না।

আসামী আফজাল, হালিম, রাজ্জাক, শাকিল, রুবেল, ফজলু সহ অনেকেই দাবী করছে ঘটনার সময় তারা রাজবাড়ী জেলায় অবস্থান করছিলো। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা একথার সাথে একমত পোষন করেছে।

স্থানীয়রা জানায়,থানা পুলিশের নিকটও আমরা আফজাল,হালিম,রাজ্জাক,শাকিল,রুবেল,ফজলুর ভিন্ন জেলায় অবস্থানের কথা তুলে ধরেছি।

এ ব্যাপারে  স্থানীয় এক শিক্ষকের সাথে আলাপকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই শিক্ষক জানায়, আমি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী । পুলিশের নিকট ঘটনার খুটি নাটি তুলে ধরেছি। মামলার আসামী আবজাল, হালিম, রাজ্জাক, জীবন, সাগর ও শাকিল ঘটনার সময় এলাকায় ছিলো না। তারা রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার তাদের আত্মীয় বাড়ীর ছুন্নতে খাতনা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলো।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কার ফকির জানায়,ঘটনার সাথে জড়িতদের আড়াল করতে নিরিহদের নামে মামলা করা হয়েছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে এ কথা জানিয়েছি। তার বিশ্বাস, কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এদেরকে আসামী করা হয়েছে।

মামলার বাদী আবুস উদ্দিন জানায়,হৃদয়ের বন্ধুদের কথামত মামলা করেছি। পুলিশ তদন্ত করে অপরাধীকে সনাক্ত করবে।

মামলার আসামী শাকিল আহমেদ জানায়, ঘটনার দিন আমরা বাড়ী না থাকলেও আসামী করা হয়েছে। তারপরও আমাদের বাড়ীঘরে কয়েক দফা হামলা করে ভাংচুর করা হয়েছে। ফলে আমরা বাড়ী ফিরতে পারছি না। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন।

আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।