কুষ্টিয়ায় চাঞ্চল্যকর লালচাঁদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ২ আসামীর ফাঁসি ও ৬ আসামীর যাবজ্জীবন কারান্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ সকাল সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান আদালতে আসামীদের উপস্থিতিতে পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় ২ আসামীর ফাঁসি এবং পেনাল কোডের ৩০২ ও ৩০২/৩৪ ধারায় ৬ জনের যাবজ্জীবন কারান্ডাদেশের রায় ঘোষনা করেন।

ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাঁস ফুলতলা কলোনী এলাকার শহীদুল ইসলামের পুত্র জাহেদ ইবনে শহীদ ওরফে রানা ও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার ফুলছরী গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান সজীব। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাঁস ফুলতলা কলোনী এলাকার শহীদুল ইসলামের পুত্র সোহেল আহম্মেদ, একই এলাকার কাইয়ূম বিহারীর ছেলে সোহেল রানা, চৌড়হাঁস কুঠিপাড়া এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে শাহিন উদ্দিন, চৌড়হাঁস এলাকার মঞ্জিল হোসেনের ছেলে মোঃ জনি, চৌড়হাঁস ফুলতলা এলাকার আমিরুল ইসলামের ছেলে মোঃ রিপন ও চৌড়হাঁস কুঠিপাড়া এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে মোঃ সুমিন। একইসাথে আদালত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।

কুষ্টিয়া জজ কোর্টের (পিপি) নারী ও শিশু আকরাম হোসেন দুলাল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩ মার্চ সন্ধ্যায় অভিযুক্ত আসামীরা পূর্ব শত্রুতার জেরে কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাঁস কলোনীপাড়া এলাকার বাসিন্দা নূর ইসলামের পুত্র মোঃ লালচাঁদকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হানপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।

এই ঘটনায় নিহত লালচাঁদের পিতা নূর ইসলাম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট প্রদান করে। দীর্ঘ শুনানিন্তে আদালত আজ এই রায় ঘোষনা করেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।