দেড়শ বছরে পা রাখলো কুষ্টিয়া পৌরসভা । এ উপলক্ষে দুই সপ্তাহব্যাপী নানান কর্মসুচী হাতে নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১ এপ্রিল) থেকে ১৩ দিনব্যাপী এ কর্মসুচী পালন করবে। এ সময় বেলুন ও শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে এবং বর্ণাঢ্য র‌্যালির মধ্যদিয়ে ১৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করা হয়।

সকাল ১১ টায় পৌরসভার বিজয় উল্লাস থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে। শোভাযাত্রায় মেয়র আনোয়ার আলী,জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন ও পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত সহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে।

শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় পৌরসভায় ফিরে আসে।

১৩ দিনব্যাপী এ আয়োজনের মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুতুল নাচ, পালাগান, যাত্রা, নাটক, নসিমন ও গম্ভীরা ইত্যাদি। সকলের জন্য উন্মুক্ত মেলা প্রতিদিন বিকাল ৩টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।

প্রসঙ্গত, কোম্পানী আমলে কুষ্টিয়া যশোর জেলার অধীন ছিল। চালতেদহের (বর্তমান গড়াই নদীর) অপর তীরে তালবাড়িয়ার মুখে ডাকদহের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত কুষ্টিয়া থানাকে পদ্মার গ্রাস থেকে রক্ষা করবার এবং নীলবিদ্রোহ-উত্তর বিব্রত বিৃটিশ প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে সুব্যবস্থিত করার লক্ষ্যে মজমপুর গ্রামের উত্তর-পূর্ব ভাগে স্থানান্তর করা হয়।

নতুন থানা কেন্দ্রিক এ অঞ্চল অতঃপর কুষ্টিয়া বলে পরিচিত হয় এবং এখানেই এ মহকুমা শহরের সদরদপ্তর গড়ে ওঠে। ১৮৫৬ পর্যন্ত কুষ্টিয়া থানা রাজশাহী বিভাগের পাবনা জেলাধীন, ১৮৬১ তে কুষ্টিয়া মহকুমা এবং ১৮৬৩ তে এ মহকুমা নদীয়া বিভাগের নদীয়া জেলার শামিল হয়।পরবর্তীতে অবিভক্ত বাংলার আধা শহর ও আর্থিক ক্ষেত্রে পশ্চাদপদ অঞ্চলগুলোর সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য ১৮৬৮ সালে একটি পৌর আইন গৃহীত হয়।

উক্ত আইনের আওতায় ১৮৬৯ সালের ১ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয় কুষ্টিয়া পৌরসভা।

আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।