বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) আওতায় খাল খনন প্রকল্পের কাজ চলছে এখনো। কিন্তু এই খাল খনন শিখতে বিদেশ গেলেন ছয় কর্মকর্তা।গত  রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার বিমানে তারা নেদারল্যান্ডসের উদ্দেশে রওনা দেন।

বিএমডিএর খাল খনন শিখতে যে ছয় কর্মকর্তা নেদারল্যান্ডস সফরে গেছেন তারা হলেন- নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশিদ, নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক নাজিরুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী নূরে আলম এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে একজন করে দুজন কর্মকর্তা।

বিএমডিএর একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সরকারি টাকা হরিলুট করতেই ছয়জন কর্মকর্তা খাল খনন শিখতে নেদারল্যান্ডসের উদ্দেশে রওনা দেন। তারা যে প্রকল্পটির অর্থে নেদারল্যান্ডস সফর করছেন, সেই প্রকল্পটি নিয়েও আছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। সঠিকভাবে খাল খনন না করে কোটি কোটি টাকা লোপাটেরও অভিযোগ আছে। আবার পছন্দের ঠিকাদারদের দিয়ে কাজ করিয়ে খাল খননের নামে হরিলুট করা হচ্ছে অর্থ। এখন সরকারি অর্থে প্রকল্পের মাঝখানে এসে বিদেশ ভ্রমণ করা হচ্ছে।

তবে যাওয়ার আগে নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রশিদ বলেছিলেন, ‘বড় বড় সব প্রকল্পেই অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে। বিদেশের বড় বড় প্রকল্পের অভিজ্ঞতা নিলে আমাদের প্রকল্পগুলোর মান আরও ভালো হয়। এ কারণে এসব প্রকল্পে বিদেশ সফর রাখা হয়। এটি মন্ত্রণালয় থেকেই অনুমোদন নিয়ে প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী খাল খনন প্রকল্পে বিদেশযাত্রা রাখা হয়।’

 বিএমডিএর আওতায় রাজশাহীতে যে খালগুলো খনন করা হচ্ছে, সেগুলো নিয়ে রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ।  বিএমডিএর রাজশাহী সদর দফতরের প্রকল্প পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে সর্বমোট ২৭ কিলোমিটার খাল খননের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে অধিকাংশ কাজ শেষ করে বিলও প্রায় পরিশোধ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ বিল বাকি আছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। ছয় কর্মকর্তার বিদেশ সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএমডিএর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে ছয় কর্মকর্তা বিদেশ গেছেন এটা জানি। কোন প্রকল্পের আওতায় তারা বিদেশ গেছেন বলতে পারব না।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।