হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া জেলা সংবাদদাতা;  জেলার খোকসায় নতুন করে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাড়ালো চার জনে। তবে পূর্বের শনাক্তকৃত ব্যক্তি সুস্থ্য হয়ে হাসপাতালের ছাড়পত্র পেয়েছে।  নতুন শনাক্তকৃত তিনজনই ঢাকা ফেরত পোশাক শ্রমিক।

আজ শুক্রবার (২৯ মে সন্ধায় ২০২০) খোকসা  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত বুধবার (২৭ মে ২০২০)  এ সব রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

 ডাঃ কামরুজ্জামান  বলেন, শুক্রবার বিকালে কুষ্টিয়ার পিসিআর ল্যাব থেকে প্রেরিত খুদে বার্তা ও ইমেলের মাধ্যমে বিষয়টি তাদের নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়, উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের পোশাক শ্রমিক আরিফুল, জাগলবার গ্রামের মফিজ উদ্দিন ও শোমসপুর গ্রামের শুকুর আলীর শরীরে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের অস্থিত্ব পজেটিভ পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে ঢাকা, সভার ও নারায়গঞ্জ থেকে কয়েকশ শ্রমিক উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ফিরে আসেন। তাদের মধ্যে এই তিন শ্রমিকের শরীরে করোনার লক্ষন দেখা দেয়। সন্দেহ ভাজন আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসব ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। শুক্রবার বিকালে রিপোর্ট আসার পর রোগীদের বাড়ি ও মহল্লা লকডাউন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, জেলায় আজ নতুন করে আরও ১০  জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা (বহিরাগত বাদে) দাঁড়ালো ৫৭ জনে। নতুন শনাক্তকৃত জেলার  মিরপুর,  কুমারখালী ও খোকসা উপজেলার।

আজ শুক্রবার (২৯  মে ২০২০) সন্ধায় কুষ্টিয়ার জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার এস এম আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের প্রাপ্ত তথ্য মতে, আজ কুষ্টিয়ার ৮৪ টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে যার মধ্যে ১০ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।   বাকিগুলোর ফলাফল নেগেটিভ৷

কুষ্টিয়ার  নতুন শনাক্তকৃত ১০  জনের  মধ্যে কুমারখালী উপজেলার দরবেশপুর ও হাকিমপুরে মোট ২ জন, খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া, জগলবা ও শোমসপুরে মোট ৩ জন, দৌলতপুর উপজেলার  ইসলামপুর, খলিসাকুন্ডি ও আদাবাড়িয়ায় মোট ৪ জন, মিরপুর উপজেলার কাকিলাদহ ১ জন। ১০ জনের মধ্যে আট জন পুরুষ ও দুই জন মহিলা

স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২৯ মে ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯টি ল্যাবের মধ্যে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ৯৮২টি। নমুনা পরীক্ষা করেছি ১১ হাজার ৩০১টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় এই সংগৃহীত নমুনা থেকে শনাক্ত রোগী ২ হাজার ৫২৩ জন। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৪২ হাজার ৮৪৪ জন। শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ।’  ‘গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে ২৩ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু দাঁড়ালো ৫৮২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সুস্থ হয়েছে ৫৯০ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ৯ হাজার ১৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ০৪ শতাংশ।’

আমাদের বাণী ডট কম/২৯  মে ২০২০/সিসিপি 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।