কুষ্টিয়ার খোকসায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগেরর ১ মাস ৮ দিনের মাথায় মূল ধর্ষক ইমনকে শুক্রবার রাত্রে তার নিজ বাড়ি শোমসপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে খোকসা থানা পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়,৫ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় শিশুটি শোমসপুর বাজার থেকে ৫’শ গজ দূরে ভাড়া বাসায় ফিরছিল। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত রাস্তা থেকে তাকে জোর করে স্থানীয় রওশন মেম্বারের ধানের চাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুকে ধর্ষণ করে তারা। শিশুটি পালিয়ে বাড়ি এসে পরিবারের লোকদের বিষয়টি জানায়। পরে রাতেই শিশুটির বাবা শোমসপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ইমন, তার সহযোগী একই গ্রামের মিলন শেখের ছেলে আব্দুল মজিদ, রফিকুলের ছেলে পিয়াস ও মতি লালের ছেলে রতনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ রাতেই রতন ও আব্দুল মজিদকে আটক করে। ঘটনার ১মাস ৮ দিন পর খোকসা থানা পুলিশের একটি টহল টিম সমষপুর আসামি ইমনের বাড়িতে হানা দিয়ে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার সকালে ইমনকে স্থানীয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি করলে তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন।

পুলিশ জানায়, শিশুটির বাবার দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা নং -০৩ তারিখ ০৫/০৩/২০১৯ ইং। মঙ্গলবার দুপুরের শারীরিক পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক দুই যুববকে রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে হাজির করা হয়েছে।

শিশুটির বাবা ও মার অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই মাদকসেবী ইমন তাদের স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছিল।

খোকসা থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার আইও এসএম কাফরুজ্জামান বলেন, ঘটনার রাতেই ৪ জনের ২ জনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আটকরা ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। এদিকে এ মামলার মূল আসামি ইমন কে গ্রেফতার হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দ্রুতই চার্জশিট দাখিল করবেন বলে জানান।

আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।