গণভবনে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যুবলীগের নেতাদের বৈঠকে সংগঠনটির বেশ কয়েকজন নেতা যোগদানের সুযোগ পাননি। এদের মধ্যে ছিলেন সংগঠনটির দুই প্রেসিডিয়াম সদস্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি ড. মীজানুর রহমান ও নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।

ক্যাসিনোকাণ্ডে এরই মধ্যে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়াসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার ও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা স্বাভাবিকভাবেই বৈঠকে যোগদানের সুযোগ পাননি। তুমুল তুমুল সমালোচনার মুখে থাকা ওমর ফারুক চৌধুরীকে যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাকেও বৈঠকে যোগদানের সুযোগ দেয়া হয়নি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মীজানুর রহমান যুবলীগের দায়িত্ব গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে ব্যাপক আলোচনা হয়। কিন্তু তাকেও বৈঠকে যোগদানের সুযোগ দেয়া হয়নি।

বৈঠকে যারা দলীয় পদ ব্যবহার করে অন্যায়ভাবে গত কয়েক বছরে বিপুল পরিমাণ অর্থ-বিত্ত-সম্পদের মালিক হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কারও অপকর্মের দায় দল ও সরকার নেবে না। যারা অপকর্ম করেছেন, দুর্নীতি করেছেন, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত ছিলেন, তাদের ছাড়া হবে না। কারো অন্যায় কর্মকাণ্ডের কারণে দল ও সরকারের দুর্নাম হতে দেবো না। কারও কারণে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হোক সেটা আমি হতে দেবো না। আমার উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও আদর্শ কারো অপকর্মের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেবো না। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক হতে বলেন তিনি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।