মাদক যদি হয় সমাজের ক্যান্সার, ধর্ষণ কি তাহলে আলসার। না আলসার নয় ধর্ষণ হচ্ছে সমাজের এইডস, ক্যান্সারের চেয়ে মারাত্মক।শিক্ষালয়ে কিংবা শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী ধর্ষন, বলৎকারের ঘটনা গুলো এতোই বেড়েছে যা নিরাময় দুরহ হয়ে পড়েছে। ঘরে বাইরে, শিক্ষালয়,অফিস,কর্মক্ষেত্র কোথাও নিরাপদ নেই কন্যা, জায়া,জননী। এক শ্রেনীর লম্পট, বিকৃত মানসিকতার মানুষ গুলো একের পর এক ঘটিয়ে যাচ্ছে ধর্ষনের ঘটনা গুলো। সচেতন হতে হবে অভিভাবকদের, সচেতন হতে হবে আমাদের মেয়েদের। প্রলোভন থেকে থাকতে হবে দূরে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে অনন্ত প্রতারণার হাত থেকে পাবে রেহাই। প্রতিবাদ করতে হবে। লাজ লজ্জা থাকবে তবে আইনের আওয়াতায় শাস্তি দিতে হলে বেরিয়ে আসতে হবে খোলস থেকে। প্রেমিক নামের প্রতারক সর্বস্ব লুটে নেয়ার পর রাখ ঢাক কিসের?
সেনবাগে এইচ এসসি পরীক্ষার্থীনী  (২০) কে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে ধর্ষন  চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে প্রেমিক শিক্ষক ইমরান হোসেন  ইমনের বিরুদ্ধে ।
বুধবার সন্ধ্যায় অর্জুনতলা ইউপির গোরকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।খবর পেয়ে ভিকটিমের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে সেনবাগ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেছে। রাত সাড়ে ৭টায় জরুরী বিভাগের চিকিৎসকরা তার শ্বাসনালীতে অস্ত্রপাচার করে দুগন্ধযুক্ত বিষক্রিয়া পরিস্কার করেছে।
রাত পৌনে ৯টায় ভিকটিম সহ তার স্বজনরা সেনবাগ থানায় মৌখিকভাবে  প্রতিকার চাইলে সেনবাগ থানার ওসি মো: মিজানুর রহমান তাৎক্ষনিক ব্যবস্হা নিয়েছেন। রাত সাড়ে ৯ টায় এসআই সহিদুল হাসান অভিযুক্ত প্রেমিক ইমনের গোরকাটার বাড়ীতে অভিযান চালিয়েছেন। পুলিশ যাওয়ার আগেই ইমন ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অভিযুক্ত প্রেমিক গোরকাটা গ্রামের ইসমাইল হোসের পুত্র এবং ওরিয়েন্ট স্কুলের  শিক্ষক। সেনবাগ সরকারী হাসপাতালে ভিকটিম এইচ এসসি পরীক্ষার্থীনী গনমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে তাদের মনদেয়া নেয়া চলছিলো।
গত ১৫ই মার্চ প্রেমিক ইমন  তার পরিবারের সদস্যদের অনুপস্হিতিতে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে  নিজের বসত ঘরে ৩ দিন আটকিয়ে রেখে ধর্ষন করে।
হাসপাতালে অসুস্হ ভিকটিম আরো জানান,ইমনকে বিয়ের চাপ দিলেই নানা অজুহাত দেখিয়ে কেটে পড়ার চেষ্টা করে।  বুধবার সন্ধ্যায় তাকে গোরকাটার বাড়ীতে ডেকে নিয়ে জোরকরে ঔষধ খাইয়ে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়।  এতে সে বাধা দিলে প্রচন্ড নির্যাতন চালায় ইমন। খবর পেয়ে ভিকটিমের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে  সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ভিকটিম (২০) চলতি এইচ এসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন স্হানীয় একটি কলেজ থেকে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে  সেনবাগ থানার থানার ওসি মো: মিজানুর রহমান হাসপাতালে ভিকটিমের চিকিৎসার খোজ খবর নিয়ে গনমাধ্যমকে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেয়া হবে।
ভিকটিমের স্বজনরা জানান, একটি মহল বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তৎপর রয়েছে।  অভিযুক্ত প্রেমিক ইমনের মোবাইল ফোনে বার বার কল দিয়ে  ফোন বন্ধ থাকায়  তার বক্তব্য নেয়ার যায়নি।  ভইমনের স্বজনরা জানান, ভিকটিমের অভিযোগ সঠিক নহে।

আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।