ভোলা সংবাদদাতা; জেলার  চরফ্যাশনে আদালতের পেশকারকে দাবীকৃত ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় হারুন অর রশিদ ফরাজী নামের এক আইনজীবীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শেষে চরফ্যাশন আদালতে এ ঘটনা ঘটে। সহকারীরা আহত আইনজীবী হারুন অর রশিদ ফরাজীকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

চিকিৎসাধীন আইনজীবী হারুন অর রশিদ ফরাজী অভিযোগ করে বলেন, জিআর ১০৯ মামলার জামিন আবেদনের জন্য মামলার ফটোকপি নিতে সহকারী ইউসুফকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার কমল দে’র কাছে ২শ টাকা দিয়ে পাঠাই। ওই সময় পেশকার কমল দে আরও অতিরিক্ত ৩শ টাকা দাবি করে মামলার নথির ফটোকপি দিতে অস্বীকৃতি জানান।’

তিনি আরও বলেন, ‘সহকারী ফিরে এলে নিজে গিয়ে পেশকার কমল দের কাছে বিষয়টি জানতে চাই। এ সময় পেশকার কমল দে, সেরেস্তাদার আবুল কালাম আজাদ ও অফিস সহকারী হুমায়ূনসহ ১০/১২ জন সংঘবদ্ধ হয়ে সেরেস্তাদার আবুল কালাম আজাদের রুমে আটকে রেখে আমাকে এলোপাতারী মারধর করে গুরুতর আহত করেন। পরে আমার সহকারীরা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আইনজীবীর সহকারী জানান, আদালতে কর্মচারীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মামলার বাদি বিবাদী পক্ষের নিকট থেকে নানা অযুহাতে টাকা হাতিয়ে নেয়। তাদের দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে মামলার পক্ষদ্বয়কে হয়রানী করা হয়।

এ বিষয়ে পেশকার কমল দে বলেন, ‘ঘুষ চাওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি। আইনজীবী হারুন অর রশিদের সহকারী এসে মামলার মুল নথি চাইলে আমি তা দেইনি। কিছুক্ষণ পরে ওই আইনজীবী এসে আমার সঙ্গে নথি না দেয়ার জন্য তর্কে শুরু করে আমাদের ওপর হামলা করেন।’

সেরেস্তাদার আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘আমার রুমেই পেশকার কমল দে’র সঙ্গে মামলার নথি দেয়া নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়েছে। এর বেশি আমার আর জানা নেই।’

চরফ্যাশন থানার ওসি সামসুল আরেফিন বলেন, ‘এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আমাদের বাণী ডট কম/১৫ জুলাই ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।