শিক্ষার্থীদের চলমান সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার আন্দোলনের পক্ষে মত দিয়েছেন প্রধান বিরোধী দলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ। তিনি মনে করেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩২ করা প্রয়োজন।

মঙ্গলবার সংসদে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ সুপারিশ করেন। এ সময় আওয়ামীলীগ সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

রওশন এরশাদ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ না করে ৩২ করলে ভালো হয়। প্রধানমন্ত্রী, আপনি তো একজন মা। আপনি চিন্তাভাবনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। শিক্ষার্থীদের সুযোগ করে দেয়া উচিৎ।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়াতে সংসদ অধিবেশনে আনা সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। ওই দিন রাতে সংসদের বেসরকারি দিবসে বগুড়া-৭ থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র এমপি মো. রেজাউল করিম বাবলু প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করা হোক- লিখে প্রস্তাবটি আনেন তিনি।

এ প্রস্তাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির পরিস্থিতি এখন ভালো। এখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত পড়ালেখা হচ্ছে। সেশনজট হচ্ছে না। ফলে একজন শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষের পর ৬ থেকে ৭ বছর পান। এ সময় তারা বহু চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন।

এরপর তিনি প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। কিন্তু প্রস্তাবকারী স্বতন্ত্র এমপি তার প্রস্তাব তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানালে পরে ভোট দেয়া হয়। সংসদে আওয়ামী লীগের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় ভোটে প্রত্যাখ্যান হয় প্রস্তাবটি।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন যাবৎ চলমান শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবি করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে সরকারি চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি সংসদ অধিবেশনে তাদের দাবি নাকচ করে দিয়ে তারা সংবাদ সম্মেলন করে আগামী ঈদের পর কঠোর কর্মসূচীর কথা ভাবছেন বলে জানিয়েছেন।

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।