পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশন থেকে ট্রেন গেল পাবনা স্টেশনে। এরপর সেখান থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি গেল রাজশাহী। ১০৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ট্রেনটি গন্তব্যে পৌঁছায়। তবে এতে চালক ছিলেন না। চালকের সহকারী ট্রেনটি চালিয়ে নিয়ে যান।

রোববার চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পাকশী বিভাগীয় রেলের ঈশ্বরদীতে। এ ঘটনার জন্য দায়ী ৩ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে সাসপেন্ড করেছে রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ।

তারা হলেন- ঈশ্বরদী রেলওয়ে শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক লোকো মাস্টার (এলএম) আসলাম উদ্দিন খান মিলন, শ্রমিক লীগের একই কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও ওই ট্রেনের সহকারী লোকো মাস্টার (এএলএম) আহসান উদ্দিন আশা এবং ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আনোয়ার হোসেন-২।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে জংশন পাকশি সূত্রে জানা যায়, ট্রেনের চালক আসলাম ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতি করায় অনেক সময় প্রভাব খাটিয়ে থাকেন। তারই ফলে গতকাল রোববার সকালে ট্রেনের চালকের আসনে তিনি নিজে না উঠে তুলে দেন তারই সহকারী এএলএম আহসান উদ্দিন আশাকে।

ট্রেনটি পাবনা স্টেশন থেকে ছেড়ে ঈশ্বরদী হয়ে ১০৭ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছায়। এ ঘটনাটি ট্রেনের কর্তব্যরত গার্ড আনোয়ার হোসেন জানলেও তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ট্রেনটি পরিচালনা করেন।

এ ব্যাপারে পশ্চিমাঞ্চলীয় বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা (ডিটিও) আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন জানান। বিষয়টি জানার পরপরই দায়িত্বে অবহেলার জন্য ট্রেনের চালক আসলাম উদ্দিন, সহকারী আহসান উদ্দিন আশা ও গার্ড আনোয়ার হোসেনকে বরখাস্ত করেছি। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেল সূত্র জানায়, এই নিয়ম না মেনে প্রায়ই এই ট্রেনের চালক ও রেল শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিন খান মিলন বাইপাস স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন। আবার মাঝে মধ্যেই তিনি তার সহকারীকে দিয়ে ট্রেন রাজশাহীতে পাঠিয়ে থাকেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।