কুষ্টিয়ায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কুমারখালীর রায়ডাঙ্গায় তার গ্রামের বাড়িতে তৃতীয় ও শেষ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে আবরারের মরদেহ দাফন করা হয়।

এর আগে, ভোরে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের বাসার সামনে অনুষ্ঠিত হয় আবরারের দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর, কুমারখালীর রায়ডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয় আবরারের মরদেহ।

ভোরে মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা। শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। সোমবার রাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রথম দফা জানাজা শেষে আবরারের মরদেহ নিয়ে রওনা দেন তার বাবা।

এর আগে, সোমবার রাতে আবরারের লাশ তার বাবার কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন।

এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও সহ-সভাপতি মোস্তাকিম ফুয়াদসহ এ পর্যন্ত ৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, রোববার রাতে বুয়েটের শের-ই বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।