কুমিল্লার হোমনায় মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রীকে দিনের বেলায় জোর পূর্বক ধর্ষণের স্বাকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ধর্ষণকারী সুমন সরকার (২৯)। রবিবার কুমিল্লার ৪নং আমলি আদালতের বিচারক রোকেয়া বেগমের আদালতে ১৬৪ ধারায় সে এ জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে শুক্রবার সকাল ১১টার সময় ছাত্রীটি উপজেলার ভংগারচর গ্রামের জমিতে কাজ করা তার কৃষক বাবাকে ভাত খাইয়ে বাড়ি ফিরছিল।
এ সময় উপজেলার দাঁড়িগাও গ্রামের রেজাউল করিম ওরফে রাজা মিয়ার বখাটে ছেলে ৮ মামলার পলাতক আসামী এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সুমন সরকার ছাত্রীটিকে জোরপূর্বক রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পাশের রজ্জব আলী মাস্টারের কাঠ বাগানে খোলা জায়গায় ধর্ষণ করে। এ ঘটনা জানাজানি করলে ছাত্রীটিকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে শাষিয়ে চলে যায় সুমন।
ভিকটিম বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে গত ৪ মে শনিবার রাতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে সুমনকে একমাত্র আসামী করে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর সুমনের পক্ষের কিছু লোকজন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ সুমনকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে ফুঁসে উঠে।
হোমনা থানার ওসি সৈয়দ ফজলে রাব্বি জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিকভাবে সে হোমনায় থানায় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে এরপর এখন আদালতে ও ধর্ষণের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার আরও একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথাও জানিয়েছে সে।
সুমনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় গত ২০১৭ সালে একটি গণধর্ষণ, ২০১৩, ’১৭ ও ’১৮ সালে তিনটি মাদক মামলা এবং ২০১৫ সালে তিনটি মারামারির মামলা এবং বর্তমানে ধর্ষণসহ ৮টি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।