আমাদের বাণী ডেস্ক, ঢাকা;  মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবারে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে প্রতি বছরের মতো বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

আজ শুক্রবার (২২ মে ২০২০)  ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাযের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এ জামাতের ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেয কারী কাজী মাসুদুর রহমান।

দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়, এ জামাতের ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী। তৃতীয় জামাত সকাল ৯টা অনুষ্ঠিত হবে। এই জামাতের ইমামতি করবেন পেশ ইমাম হাফেয মাওলানা এহসানুল হক।

সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ জামাত। এ জামাতে ইমামতি করবেন পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এ জামাতের ইমামিত করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান। এই পাঁচটি জামাতে কোনও ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

উল্লেখ্য, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আসন্ন ঈদে খোলা জায়গায় বা কোন ঈদগাহ মাঠে ইদের নামাজ না পড়ার সিদ্ধান্ত নেই ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এর পরিবর্ত মসজিদে মসজিদে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২২ মে ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট ৪৩২  জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৬৯৪ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩০ হাজার ২০৫ জনে।গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হ‌য়েছেন আরও ৫৮৮ জন। এ নি‌য়ে সুস্থ হ‌য়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ছয় হাজার ১৯০ জ‌নে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫ জন, বাড়িতে আটজন ও হাসপাতালে আনার পথে একজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন, বরিশাল বিভাগে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগের তিনজন। তাদের বয়স বিশ্লেষণে ২১-৩০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১-৫০ দুইজন, ৫১-৬০ পাঁচজন, ৬১-৭০ ছয়জন, ৭১-৮০ দুইজন এবং ৮১-৯০ বছরের মধ্যে একজন।
আমাদের বাণী ডট কম/২২ মে ২০২০/ডিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।