জামালপুর সংবাদদাতা; জেলায় যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমলেও ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, দশআনী, জিঞ্জিরামসহ অন্য শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। দ্বিতীয় দফা বন্যায় জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন প্রায় ৯ লাখ বন্যার্ত মানুষ।

জামালপুর পৌরসভার নাওভাঙা চর এলাকায় সকল ঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। শহর রক্ষা বাঁধের ওপর আশ্রয় দিয়েছে দুর্গত এলাকার মানুষ।

আজ শনিবার সকাল ৬টায় জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে সাদিয়া আক্তার (১২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে ওই এলাকার হায়দর আলীর মেয়ে।

এছাড়াও গত শুক্রবার দুপুরে জামালপুর পৌরসভার কম্পপুর এলাকায় বন্যার পানিতে গোসল করতে গিয়ে মালা আক্তার (১৪) নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয় আব্দুল মজিদের মেয়ে।

এদিকে জেলা প্রশাসনের হিসেবে জেলার ৭ উপজেলার ৬৮টি ইউপির মধ্যে ৫১টি ইউপি বন্যা কবলিত হয়েছে। বন্যার পানি ঢুকেছে ৮টি পৌরসভার মধ্যে ৭টিতেই।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী সাংবাদিকদের জানান, জেলার ৬১টি আশ্রয়কেন্দ্রে নয় হাজার ৭২৮ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য আরো নয় লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

আমাদের বাণী ডট কম/১৮  জুলাই ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।