জার্নাল জালিয়াতির অভিযোগে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এর লোক-প্রশাসন বিভাগের এক শিক্ষককের পদোন্নতি বাতিল করা হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পরিষদ রিজেন্ট বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই জার্নাল জালিয়াতির জন্যে কোন প্রকার শাস্তির ব্যবস্থা করেন নি।

পাবিপ্রবি সূত্রে জানা গেছে, অতি সম্প্রতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রসাশন বিভাগের প্রভাষক সানজিদা রহমান পদোন্নতির জন্যে আবেদন করেন।

পদোন্নতির জন্যে শর্তাদি পূরণের জন্যে শিক্ষকতার বয়সকাল ও জার্নাল পাবলিকেশন্স এর প্রয়োজন হয়। ওই শিক্ষক শিক্ষকতার বয়সকাল নিয়মানুযায়ী ঠিক করলেও তিনি জার্নাল পাবলিকেশন্সের ব্যাপারে দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ উঠে।

ওই শিক্ষক কয়েকটি অখ্যাত ও ফেক জার্নাল তার পাবলিকেশন্স প্রকাশের কপি জমা দেন। সেই জার্নালেও বানান ও তথ্যের ভুল ছিল। এ নিয়ে পাবিপ্রবি শিক্ষকদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠে। তবুও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে পদোন্নতি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। যার পরিপ্রেক্ষতে একটি বোর্ডের মাধ্যমে ফেক জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ বানান ও ত্যথ্য ভুল থাকার পরেও তাকে পদোন্নতি প্রদান করেন।

ওই বোর্ড সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে সঠিক ও গ্রহণযোগ্য মাধ্যমে জার্নাল প্রকাশের শর্তে আগামী ৬ মাস পর থেকে তার পদোন্নতি কার্যকর হবে।

তবে গত ৬ জুলাই পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরাম রিজেন্ড বোর্ড সভায় তার পদোন্নতির বিষয়টি আবারও আলোচিত হয় এবং আগের সভায় পদোন্নতির সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।

পাবিপ্রবির একাধিক রিজেন্ট বোর্ড সদস্য এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলীম ঘটনার সত্যতা স্বীকারন। তিনি বলেন, লোক প্রসাশন বিভাগের প্রভাষক সানজিদা রহমানের আপগ্রেডেশন বাতিল করা হয়েছে। পুনরায় সকল শর্তাদি পূরণ করার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

এ ব্যাপারে পাবিপ্রবির লোক প্রসাশন বিভাগের প্রভাষক সানজিদা রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।