আল মাসুদ পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা; জেলার আটোয়ারী উপজেলার সদ্এযমপিওভুক্ত হওয়া সন্দেশ দিঘী নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইন্তাজুল হক এবং শরীর চর্চা শিক্ষক জোসনা বেগমের বিরুদ্ধে জাল সনদে এমপিওভুক্তির অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাহেরা বেগম এবং রতন বিলাশ বর্মন, খকেন্দ্রনাথ রায়, মকছেদ আলী পৃথক পৃথক ভাবে জেলা শিক্ষা অফিসার পঞ্চগড় ও জেলা প্রশাসক পঞ্চগড় বরাবর দুইটি লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে সাহেরা বেগম জানান, ২০০৫ সালে ৯ম/১০ম শ্রেণি খোলার নিমিত্তে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় জোসনা বেগমকে। কিন্তু দীর্ঘ দিন যাবৎ যে সমস্ত শিক্ষক নিয়োগ প্রাপ্ত আছে এবং এমপিও প্রাপ্তি হবে তাদের বাদ দিয়ে অর্থের লোভে জোসনা বেগমকে আকষ্মিক ভাবে প্রশিক্ষণ ছাড়া বিপিএড সনদ ক্রয় করে শরীর চর্চা শিক্ষক হিসেবে এমপিও ভুক্তের জন্য কাগজপত্র প্রেরণ করে।

অন্য অভিযোগে আরও জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইন্তাজুল হকের এমপিও ভুক্তের জন্য যে কাগজপত্র প্রেরণ করেছে তার মধ্যে বিএড সনদটি বাজারে ক্রয়কৃত। প্রধান শিক্ষকের নামে একই অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক রতন বিলাশ বর্মন, খকেন্দ্রনাথ রায়, মকছেদ আলী।

অভিযোগে দাখিলকৃত কাগজপত্র সুষ্ঠু তদন্ত না করা পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক ও শরীর চর্চা শিক্ষকের এমপিও ভুক্ত না করা এবং সনদ জালিয়াতির জন্য শিক্ষকদ্বয়ের বিরুদ্ধে শাস্তির জোর দাবি জানান তারা।

শিক্ষকদ্বয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাগজপত্রে ও অসংগতি দেখা গেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষার রেজাল্ট শীট, রেজুলেশন, শিক্ষকদের তথ্য শীট সহ বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বিদ্যালয়ের শিক্ষক গন। শিক্ষক নিয়োগ ও সনদ জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আঃ খালেক জানান আমি বার বার এসব বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে বলেছি। যদি এমন কিছু হয়, তাহলে সব কিছুর দায়ভার তাদের নিতে হবে।

আটোয়ারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.তোবারক হোসেন বলেন অভিযোগ পেয়েছি, যথাযথ কতৃপক্ষের মাধ্যমে সনদ যাচাই করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগের বিষয়ে শরীর চর্চা শিক্ষক জোসনা বেগম বলেন, আমি বিপিএড করেছি বগুড়ায়। আমার সনদের সত্যতা যাচাই হয়ে যদি সঠিক হয় তো হবে, নাহলে হবেনা।

এ বিষয়ে সন্দেশ দিঘী নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইনতাজুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে দেখা করবেন বলেই ফোনটি কেটে দেন।

জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শাহীন আকতার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সনদ যাচাই করে শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তির আবেদন গ্রহন করা হবে।

আমাদের বাণী ডট কম/১৮  জুন ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।