শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব–কমিটি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, সামনের পরীক্ষা থেকেই পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আগামী মাসেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে তা জানানো হবে। চেয়ারম্যান বলেন, এখন দীর্ঘদিন ধরে পাবলিক পরীক্ষা হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্লাসসহ অন্যান্য শিক্ষা কার্যক্রমে সমস্যা হয়। কারণ, অনেক প্রতিষ্ঠানেই কেন্দ্র থাকে। এ জন্যই পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা ১০ দিনের মধ্যে নেওয়া হবে। বর্তমানে এই পরীক্ষা হয় ১৫ দিন ধরে।

আর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা হবে ২০ থেকে ২২ দিনের মধ্যে, যা এখন হয় এক মাস ধরে। এ ছাড়া উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হবে এক মাসের মধ্যে, যা এখন লাগে দেড় মাস থেকে ১ মাস ২০–২১ দিন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সাল থেকেই পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনার কথা ভাবা হচ্ছে।

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ২০১৪ সালেই বলেছিলেন, ভবিষ্যতে পাবলিক পরীক্ষার সময়সূচিতে সরকারি ছুটির দিন ছাড়া কোনো বিরতি রাখা হবে না। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গঠিত একটি তদন্ত কমিটিও বিদ্যমান ‘দীর্ঘ সময়ব্যাপী’ সময়সূচির নিয়ম পুনর্নির্ধারণ করে সম্ভব হলে এক দিনে দুই পরীক্ষা (সকাল-বিকেল) অথবা প্রতিদিন একটি করে বিরতিহীনভাবে পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ করেছিল।

তখন এ নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে তা আর এগোয়নি। এরপর গত বছরও এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এমনকি পরীক্ষার মাঝে বিরতি কম দিয়ে সময়সূচি প্রকাশের পর পরীক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছিলেন। সূত্র: প্রথম আলো

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।