ঝিনাইদহের ৪টি পৌরসভায় বছরের পর বছর বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয় না। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় ঝিনাইদহ ওয়েষ্টজোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী (ওজোপাডিকো) পড়েছে বিপাকে। নোটিশ করেও পৌর কর্তৃপকোষর কোন সাড়া পাচ্ছে না ওজোপাডিকো। ফলে সরকারের সিদ্ধান্তে হার্ডলাইনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওজোপাডিকো। আগামী ১৫ জুনের মধ্যে বিল পরিশোধ না করলে ঝিনাইদহ বিদ্যুৎ বিভাগ পৌরসভাগুলোর লাইন বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়েছে।

ঝিনাইদহ ওয়েষ্টজোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী সুত্রে এ খবর নিশ্চত করা হয়েছে। এদিকে সেবা নির্ভর এই প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিদের গাফলতি ও সেচ্ছাচারিতার কারণে মোটা অংকের দেনায় জড়িয়ে পড়েছে পৌরসভাগুলো। অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যুৎ বিল খেলাপী পৌরসভাগুলো নানা খাত থেকে রাজস্ব আয় করলেও তারা বকেয়া বিদ্যুত বিল পরিশোধে অনিহগা দেখায়।

ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার জানান, ঝিনাইদহের চারটি পৌরসভার কাছে তাদের বকেয়া পাওয়ানা ৫ কোটি ১৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে সবচে বেশি বিদ্যুৎ বিল বাকী কোটচাঁদপুর পৌরসভার কাছে। বিদ্যুৎ বিভাগ কোটচাঁদপুর পৌরসভার কাছে দুই কোটি আট লাখ টাকার বকেয়া পাবে। এ ছাড়া মহেশপুর পৌরসভার কাছে এক কোটি ৪৫ লাখ ১৪ হাজার, কালীগঞ্জ পৌরসভার কাছে ১ কোটি ৪১ লাখ ২৮ হাজার ও শৈলকুপা পৌরসভার কাছে ১৯ লাখ ২১ হাজার টাকা পাবে। তিনি আরো জানান, ঝিনাইদহ পৌরসভার কাছে ওজোপাডিকোর দেড় কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল পাওয়ানা ছিল। কিন্তু এই বিলের বেশির ভাগ পরিশোধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যতদুর জানি হরিণাকুন্ডু পৌরসভা পল্লী বিদ্যুতের আওতায় হওয়ায় তাদের কোন বিল বাকি নেই।

নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার জানান, ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির জারীকৃত অধ্যাদেশ অনুযায়ী একই প্রাঙ্গনে আগের বকেয়া থাকলে সেখানে নতুন করে সংযোগ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্র বলেছেন, “টাকা না দিলে সেবা বন্ধ করে দিন” আমরা প্রধানমন্ত্রীর কথায় এখন উজ্জীবিত। জুনের আগে টাকা পরিশোধ করা না হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।

বিষয়টি নিয়ে কালীগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম বলেন, কালীগঞ্জ পৌরসভার কাছে ১ কোটি ৪১ লাখ ২৮ হাজার টাকার যে বিলের কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। আমাদের কাছে ৫৫ লাখ টাকা পাবে। জেলা প্রশাসকের মধ্যস্থতায় আমরা বিল দেওয়ার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, কোন ভৌতিক বা ভুতুড়ে বিল আমরা দেব না। আমরা টাকা দিতে চায়, কিন্তু সমন্বয়ের অভাবে ঝিনাইদহ ওয়েষ্টজোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী বিল নিতে অনীহা দেখাচ্ছে। পৌর চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম বলেন, অচিরেই হয়তো আমরা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবো।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।