অগ্রাহায়ন কেটেছে বিনা শীতে। এখন পৌষ মাস। পৌষ মাসের শুরুতেই ঝিনাইদহে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে শীত ও বাতাসের তীব্রতা বাড়ছে। শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী, পথচারী থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষ। বিশেষ করে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দুর্ভোগের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে বাস, ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।

ঝিনাইদহ শহরের পথচারী রহমান মিয়া বলেন, কয়েকদিনের তুলনায় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে শীত অনেক বেশি পড়ছে। শীতের সঙ্গে বাতাসও হচ্ছে। শীতের কাপড় গায়ে দিয়েছি তবুও শীত যাচ্ছে না। সদর উপজেলার মধুপুর গ্রামের কৃষক তরিকুল বলেন, খুব শীত, সকালের দিকে মাঠে কাজ করতে যেতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। গরীব মানুষ ভালো কাপড়-চোপড়ও কিনতে পারি না। আমাদের খুবই কষ্ট ভাই।

রিকশাচালক মুজাম বলেন, কয়েক দিনের তুলনায় গত দুদিন ধরে শীত একটু বেশিই মনে হচ্ছে। শীতের কারণে সকাল ও সন্ধ্যায় রিকশা চালাতে সমস্যা হচ্ছে। বাসচালক আব্দুর রহমান বলেন, সকালে ঘন কুয়াশা আর বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভব হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে লোকজন খুব একটা বের হচ্ছে না। তীব্র শীতের কারণে যাত্রী কম থাকায় গাড়ি চলাচলও কমে গেছে। ঘন কুয়াশায় কারণে সকালে ও রাতে গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগছে।

ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, কিছুটা হলেও দরিদ্র মানুষের শীতের কষ্ট নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছি। সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।