নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা; করোনার ছোবলে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত দেশে ৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছে এর মধ্যে মারা গেছে পাঁচ জন অন্যদিকে সুস্থ্য হয়েছন ১৫ জন। তবে বিশ্বে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সমগ্র বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অফিস আদালত দোকান পাট।  এদিকে উৎকণ্ঠা উদ্বিগ্নতায় কয়েক লাখ শিক্ষক শিক্ষার্থী।

আর এই বন্ধের সময়ে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সংসদ বাংলাদেশ টেলিভশনে ক্লাশ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল রবিবার থেকে। আর ভিডিও রেকর্ডিং এর মাধ্যমে ক্লাস নিতে আগ্রহী  শিক্ষকদে্র তালিকা চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর।

গতকাল শুক্রবার (২৭ মার্চ  ২০২০) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) প্রফেসর ড প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকায় অবস্থানরত আগ্রহী  শিক্ষকদের নামের তালিকা দিতে বলা হয়েছে।

আমাদের বাণী

এর আগেগত  বুধবার (২৫ মার্চ ২০২০) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে

সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচালিত বিষয়ভিত্তিক ক্লাস দেখলেই কাজ শেষ নয়। টিভিতে প্রচারিত প্রতিটি ক্লাসের পর দেয়া হবে বাড়ির কাজ। আর প্রতিটি বিষয়ের আলাদা খাতায় সেই বাড়ীর কাজ শেষ করতে হবে। করোনার তান্ডব শেষ হলে যখন স্কুল খোলা হবে তখন শিক্ষকদের সেই বাড়ীর কাজের খাতা দেখাতে হবে। বাড়ীর কাজের প্রাপ্ত নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। গতকাল বুধবার (২৫ মার্চ ২০২০) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধকালীন ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির পাঠদানের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য ‘সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন’-এ বিষয়ভিত্তিক ক্লাস পরিচালনার সময়সূচি প্রকাশ করেছে অধিদপ্তর। নির্দিষ্ট একাডেমিক ক্যালেন্ডার (সংযুক্ত) অনুযায়ী আগামী ২৯ তারিখ সকাল ৯টা থেকে ‘সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন’-এর কার্যক্রম শুরু হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পাঠদানকারী শিক্ষক ক্লাস শেষে পাঠদানকৃত বিষয়ের ওপর বাড়ির কাজ দেবেন। প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য শিক্ষার্থীরা আলাদা খাতায় তারিখ অনুযায়ী বাড়ির কাজ সম্পন্ন করবে ও স্কুল খোলার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাছে তা জমা দেবে। এ বাড়ির কাজের উপর প্রাপ্ত নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

আমাদের বাণী ডট কম/২৮ মার্চ ২০২০/ডিএ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।